সইফ হামলা কাণ্ডে নয়া মোড়! গ্রেফতার বাংলার ১ মহিলা
নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই – সইফ আলি খানের উপর হামলা কাণ্ডে নয়া মোড়। তদন্তের জন্য দিন কয়েক আগেই পশ্চিমবঙ্গে এসেছিল মুম্বই পুলিশ। সোমবার তদন্ত করে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় ১ মহিলাকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহিলার সঙ্গে সইফের হামলাকারী মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে। শরিফুল বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিল ধৃত মহিলার সাহায্যে। ধৃত মহিলা মুর্শিদাবাদের আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, উত্তরঙ্গের ভারত-শিলিগুড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলায় এসেছিল শরিফুল। বাংলায় অনুপ্রবেশের জন্য এক মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সে। সেই মহিলাকেই গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ।
বুধবার ভোর ৪টে নাগাদ আচমকা বান্দ্রার সৎগুরু শরণ অ্যাপার্টমেন্টের ১২ তলায় সইফের বাড়িতে ঢোকে আততায়ীরা। তখনই ঘুম ভেঙে যায় অভিনেতার। দুষ্কৃতীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বলিউডের নবাবের। সেই সময় সইফকে একাধিকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতী। ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হন অভিনেতা। হাতে গলায় চোট পান সইফ। তৎক্ষণাৎ আহত অবস্থায় মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সইফকে।
হাসপাতালের চিকিৎসক নীরজ উত্তামানি জানান, সইফের শরীরে ৬ টি ক্ষত রয়েছে। তার মধ্যে ২ টি বেশ গভীর। এর মধ্যেই শিরদাঁড়ার কাছেও একটি ক্ষত আছে। একজন কসমেটির সার্জেন সহ চিকিৎসকদের একটি টিম সইফের অস্ত্রোপচার করে।
থানের কাসারভাদালি এলাকায় হীরানন্দানি এস্টেটের কাছে একটি ঝোপের মধ্যে শুয়ে ছিল সইফের হামলাকারী। ধরা পরার পর পুলিশকে প্রথমে নিজের নাম বিজয় দাস বলে জানায়। পরে স্বীকার করে নেয় তার আসল নাম। সে জানায় তার নাম মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। সইফের হামলাকারীর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ধারালো অস্ত্র এবং একটি তোয়ালে।
মুম্বইয়ের একটি পাবে কাজ করত অভিযুক্ত। এরপর একটি রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ করে সে। এমনকি থানেতে হাউসকিপিং ওয়ার্কার হিসেবেও কাজ করেছে সইফের হামলাকারী। সন্দেহভাজন ৩ জনকে আটক করেছিল মুম্বই পুলিশ।
সইফ আলি খানের হামলাকারী একজন বাংলাদেশি। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল অভিযুক্ত। বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করে মুম্বই পুলিশ।