বাংলার রাজনীতিতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত 'চাষের ব্যাটা' রেজ্জাক মোল্লা
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - বাম আমলের দাপুটে নেতা। পরবর্তীকালে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। ছিলেন ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক। তিনি হলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আবদুর রেজ্জাক মোল্লা। শুক্রবার সকালে ভাঙড়ের বাকড়ি গ্রামে বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
সূত্রের খবর, দীর্ঘ রোগভোগের পর প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বাঁকড়ি গ্রামে নিজের বাড়িতে থাকতেন তিনি। শুক্রবার সকালে প্রাতঃরাশ সেরে ওঠার পর কাশতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সব শেষ। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। ‘চাষার ব্যাটা’র মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল।
রেজ্জাক মোল্লার প্রয়াণে নিজের এক্স হ্যান্ডলে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার সহকর্মী, আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার প্রয়াণে আমি শোকাহত ও মর্মাহত। তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী ছিলেন। তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করতাম, সম্মান করতাম। বাংলার গ্রামজীবন, কৃষি-অর্থনীতি ও ভূমি-সংস্কার বিষয়ে তাঁর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছিল সুবিদিত। তাই এক সময় অন্য ধারার রাজনীতি করলেও, মা-মাটি-মানুষের সরকারে তাঁর মিলিত হয়ে যাওয়া ছিল সহজ ও স্বাভাবিক। তাঁর প্রয়াণে বাংলার রাজনৈতিক জীবনে অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি তাঁর পরিবারবর্গ, অসংখ্য অনুগামী ও শুভানুধ্যায়ীকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’’
প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে ভাঙড় বিধানসভা থেকে সিপিএমের টিকিটে জিতে প্রথম বার বিধায়ক হয়েছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। নিজেকে ‘চাষার ব্যাটা’ বলে পরিচয় দিতে ভালবাসতেন। তিনি প্রথম বার মন্ত্রী হন ১৯৮২ সালে। বামফ্রন্টের ভূমি সংস্কার দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। জ্যোতি বসু এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দু’জনেরই মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ছিলেন রেজ্জাক। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর তিনি ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন। সে বার ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হন। ছিলেন ২০২১ সাল পর্যন্ত।