মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে, আত্মঘাতী শিক্ষিকা
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - স্কুলের শিক্ষিকার উপর হচ্ছে মানসিক নির্যাতন। আর তার জেরে আত্মহত্যা করলেন ওই শিক্ষিকা। অভিযোগের তীর স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আত্মহত্যা করার আগে সে কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে জানান ওই শিক্ষিকা।
সূত্রের খবর, দক্ষিণেশ্বরের খালসা মডেল স্কুলের কিন্ডারগার্টেন বিভাগে শিক্ষিকা ৫৮ বছরের জসবীর কৌর বরাহনগর মাতৃমন্দির লেন এলাকার বাসিন্দা। ২০০৩ সালে স্বামী মারা যাবার পর স্কুলে চাকরি করতে শুরু করেছিলেন জসবীর। গত কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ধরে কর্মরত ছিলেন খালসা মডেল স্কুলে। গত পাঁচ বছর ধরেই স্কুলের নতুন ম্যানেজমেন্টসহ প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে একাধিক বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবং এই কারণে তাঁকে হেনস্তা করে কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ মৃত জসবীরের। বৃহস্পতিবার আত্মহত্যার আগে তিনি একটি সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও করেন। সেখানে স্কুলে কাজের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। নানাভাবে মানসিক নির্যাতন ও হেনস্থা করছেন প্রিন্সিপাল এবং স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যরা। কাজ হারানোর আশঙ্কা থাকছে। এই কথাগুলি জানান জসবীর।
বৃহস্পতিবার সোশাল মিডিয়ার ওই ভিডিয়ো দেখেই বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে জসবীরের ফ্ল্যাটে যান তাঁর ভাই। দরজা ভেঙে ঢুকে দেখেন শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ ইতিমধ্যে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতার 'সুইসাইড ভিডিও' যাচাই করে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্কুলের প্রিন্সিপালসহ মোট পাঁচজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত শিক্ষিকার পরিবার।
এই বিষয়ে মৃত শিক্ষিকার ভাই বলেন, ‘ওর সঙ্গে চার বছর ধরে স্কুলে মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছিল। স্কুল থেকে ফিরে বলত, খুব অত্যাচার করছে। কুড়ি বছরের বেশি পড়াচ্ছিলেন। আমার জামাইবাবুর মৃত্যুর পর ওকে চাকরি দিয়েছিল স্কুল। প্রিন্সিপাল তো খুবই অত্যাচার করতেন। চাকরি কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হতো।’