দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে বচসা অভিজিৎ-বাবুলের! বেপরোয়া গাড়ি চালানো নিয়ে তর্কাতর্কি
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে তর্কাতর্কিতে জড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেস মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার রাতে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে বচসা চলে দু’জনের। দুই রাজনীতিকের বচসা দেখে ভিড় জমে সাধারণ যাত্রীদের। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সূত্রের খবর, গাড়ির বেপোয়া গতি নিয়ে শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে চরম বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ দিন রাতে কলকাতার দিকে থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়৷ মন্ত্রীর দাবি, সেই সময় তাঁর গাড়ির সামনেই ছিল তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়ি৷ বাবুলের অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে সাইরেন বাজিয়ে বেপরোয়া গতিতে এগোচ্ছিল বিজেপি সাংসদের গাড়ি৷ দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপরে মেরামতির কাজ চলায় এমনিতেই রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে রয়েছে৷ তার মধ্যেই বেপরোয়া গতিতে এগোতে গিয়ে বিজেপি সাংসদের গাড়ি বেশ কয়েকটি বাইককেও ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ বাবুলের৷
চালককে বাবুল এত দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণ জিজ্ঞাসা করেন। অভিযোগ, সেসময়ই আচমকা পিছন থেকে কুৎসিত ভাষায় তাঁকে আক্রমণ শুরু করেন অভিজিৎ। বাবুল তাঁকে বুঝিয়ে বলেন, বিপজ্জনক গতিতে তাঁর গাড়ি চলছে। এর ফলে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ট্রাফিকের যে স্পিড লিমিট রয়েছে, তা মানছেন না অভিজিৎ। সেইসঙ্গে নিয়ম না মেনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নীল রঙের আলো ব্যবহার করছেন, যা তিনি কখনওই করতে পারেন না। এসব শুনেই খেপে যান অভিজিৎবাবু। রীতিমতো অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ।
যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অভিজিতের বক্তব্য, তাঁর গাড়ির চালক যদি কোনও ভুল করত তাহলে পুলিশ ধরত। কেস দিতেই পারত। কিন্তু এমন কিছুই হয়নি। তাঁর দাবি, গাড়ির সামনে ‘এমপি তমলুক’ লেখাটি দেখতে পেয়েই বাবুল ইচ্ছাকৃত এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বাবুল মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলেও দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, বাবুলই প্রথমে তাঁর গাড়ির সামনে এসে গালিগালাজ শুরু করেন।
বাবুল ও অভিজিতের এই তর্কাতর্কির সময়ে দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের উপর লোকজন জড়ো হয়ে যায়। খবর পেতেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ও কর্মীরা। তাঁদের প্রচেষ্টায় শুক্রবার রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এবার এই ঘটনায় বাবুলের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।