'যোগ্য অযোগ্যদের তালিকা বাছাই করা সম্ভব', চাকরিহারাদের নিয়ে এসএসসি অফিসে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে আলোড়ন শুরু হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকেই। এ বার চাকরিহারাদের নিয়ে সেই প্রাক্তন বিচারপতি তথা বর্তমান সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গেলেন এসএসসি দফতর অভিযানে। মূলত নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আইনি পরামর্শের জন্য মঙ্গলবার দুপুরেই অভিজিতের সঙ্গে দেখা করেছিলেন চাকরিহারাদের একাংশ। এরপরে অভিযান চালান সাংসদ।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ চাকরিহারাদের নিয়ে এসএসসির দফতরে পৌঁছোন অভিজিতেরা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীও। যদিও এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁদের। তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "ওনারা যখন বলছেন, আমরা ওএমআর-এর হার্ড কপি পুড়িয়ে ফেলেছি। আমার খুব সন্দেহ আছে, পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে কিনা। তখন তো আর কোনও উপায় নেই আসল নকল বার করার। আগে তো আমাকে রেজাল্টটা দেখতে হবে। সেখান থেকে বার করতে হবে। একটা কম্পিউটরাইজড মেথড তো রয়েছে, যেখান থেকে ম্যাচ করালে বোঝা যাবে, কতজন পাশ করেছেন, কতজন ফেল করেছেন। আজ আমরা আমাদের দাবিদাওয়া জানিয়েছি। ওখানে থাকা পুলিশ আধিকারিককেও জানিয়েছি যে আমরা বুধবার আবার আসব। আমাদের দাবি, ওএমআরের মিরর ইমেজ প্রকাশ্যে আনা হোক। আর যাঁরা তা প্রকাশ্যে আনতে দিচ্ছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক।"
বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, "এই যোগ্য অযোগ্যের লিস্ট বার করে দেওয়া সম্ভব। কীভাবে? সিবিআই যে মাদার ডিস্ক উদ্ধার করেছে, হরিয়ানা থেকে, সেটা সিবিআই ট্যালি করে দেখেছে। মিস্টার এক্সের কাছে যেটা ছিল, সেটার সঙ্গে মিস্টার এক্সের সাব কনডাক্টরের কাছে যেটা ছিল, সেটা একই জিনিস। স্কুল সার্ভিস কমিশন ধরে নিক, সেটাই সঠিক তালিকা। সেটাই ওএমআর। সেখান থেকে ছানবিন করে যোগ্য অযোগ্য আলাদা করা যেতে পারে। এরপর একটা রিভিউ অ্যাপ্লিকেশন সুুপ্রিম কোর্টের কাছে করা যাক, এরা অযোগ্য, সেটা দেখিয়ে দেওয়া হোক। সরকার যদি এটা না করে, তাহলে আর কী বলার! সরকারকে চাপ দিতে হবে।"