'সিবিআইকে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে', দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীর
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র থেকে ১৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন তথ্য উঠে এসেছে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিটে এক অডিয়ো ক্লিপে বলে দাবি করেছে সিবিআই। এরপরেই এই নিয়ে মুখ খুললেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীল সঞ্জয় বসু। এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সম্প্রতি পেশ করা চার্জশিটে বিভ্রান্তিমূলক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে সিবিআই।
প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "আমার মক্কেল ইডি ও সিবিআইকে তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। তাঁকে যখন যেখানে ডেকে পাঠানো হয়েছে সেখানে হাজিরা দিয়েছেন। যে নথি চাওয়া হয়েছে সেই নথি জমা দিয়েছেন। তার পরেও সিবিআই ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। যেখানে অপরাধের সূত্র অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইডিকে। তারা পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট পেশ করেনি। আর আজ যে চার্জশিটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটি আমার মক্কেলকে হেনস্থা করার একটা টোপ মাত্র। সিবিআই চার্জশিটে যে দাবি করেছে তার সমর্থনে কোনও নথি বা প্রমাণ পেশ করতে পারেনি তারা। যাতে স্পষ্ট আমার মক্কেলকে ফের একবার অকারণে নিশানা করা হচ্ছে।"
ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, "এর আগে ইডি শ্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল। কোনও প্রমাণ না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। ইডিকে দিয়ে হেনস্থা করতে ব্যর্থ হয়ে রাজনৈতি শক্তি এখন সিবিআইয়ের দিকে মুখ ঘুরিয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে নিজেদের কার্যসিদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। সাম্প্রতিক চার্জশিট প্রমাণ না থাকলেও সন্দেহের উদ্রেক করার একটা মরিয়া চেষ্টা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিবিআইয়ের এই চেষ্টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করার একটা ব্যর্থ চেষ্টা মাত্র। খতিয়ে না দেখেই এই মামলায় যে ভাবে ব্যক্তিদের বয়ান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা সিবিআই তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়।"
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের চার্জশিটে জানিয়েছে, ঘুষের টাকা দিতে ২০১৭ সালে কালীঘাটের ‘কাকু’র বাড়িতে গিয়েছিলেন অপর দুই অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও দুজন। সিবিআইয়ের দাবি, ওই সময়ে তাঁদের কথোপকথনের একটি অডিয়ো ক্লিপ তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। কী ভাবে বেআইনি নিয়োগ চলত, এই চক্রে কারা ছিলেন, তা নিয়ে আলোচনা ওই অডিয়ো ক্লিপে রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে চার্জশিটে।