News details

image

Rabi Mondal / 30 November, 2024

স্বাস্থ্য পরিষেবায় জোর, ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে একাধিক নতুন ঘোষনা অভিষেকের

নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা - আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। এরপরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে তৃণমূল সরকার। এরপর শনিবার ডায়মন্ড হারবারে নিজের কেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একাধিক ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।

 

এদিন অভিষেক জানান, নতুন বছর থেকে ডায়মন্ড হারবারের সাত বিধানসভায় চিকিৎসা শিবির চলবে। প্রতিটি বিধানসভায় ১০ দিন ধরে স্বাস্থ্য শিবিরের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। দশ দিনের মধ্যে সাতদিন শিবির পরিচালনায় জেনারেল মেডিসিনের চিকিৎসকেরা একেক দিন বিধানসভা ভিত্তিক ৪০টি শিবির করার পরিকল্পনা আছে। এই পরিষেবায় স্বাস্থ্য শিবিরে সাধারণ রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি পোর্টেবল ইসিজি পরিষেবা দেওয়ার‌ও পরিকল্পনা। পঁচাত্তর দিন ধরে চলবে এই কর্মসূচিটি। আটশো চিকিৎসক যোগ উপস্থিত থাকবেন। প্রতি শিবিরে অন্তত দু’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকছেন। সঙ্কটজনক রোগীদের জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হলে ১২টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হবে। হিমোগ্লোবিন-সহ রক্তের নানাবিধ পরীক্ষা-সহ ডেঙ্গি পরীক্ষার সুবিধা থাকবে ।

 

অভিষেক বলেন, "আমরা যখন ঠিক করেছিলাম, আমরা একটা স্বাস্থ্য শিবির করব, যে স্বাস্থ্য শিবির প্রায় ২৩ লক্ষ লোকের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেবে। আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, প্রত্যেকটা ক্যাম্পে আমরা দুটি শিফটে ডাক্তারবাবুদের অংশগ্রহণ করতে বলি। কেউ প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে, কেউ সরকারে চাকরি করে। তাঁরা সপ্তাহের দু'দিনের বেশি সময় দিতে পারবেন না। ২-৩ শো ডাক্তার হলে আমরা ভেবেছিলাম আমরা এই কাজটা সফল বা সার্থক করতে পারব। এই কর্মসূচি অর্থাত্‍ সেবাশ্রয়, শেষ হওয়ার পরে জানুয়ারি, ফ্রেরুয়ারি, মার্চের মধ্যিখানে অর্থাত্‍ ১৫-১৬ তারিখ নাগাদ যদি শেষ হয়, আমরা পয়লা বৈশাখের আগে দরকার হলে ৫ হাজার ডাক্তারের কনভেনশন করব। এবং কলকাতার বুকে করব। যাঁরা আজকে আসতে পারেনি,  তাঁদের সবাইকে আমরা সেদিন আসার সুযোগ করে দেব।'

 

পাশাপাশি নারী নির্যাতন নিয়ে কড়া আইন চেয়ে সওয়াল করেন অভিষেক। এদিন অপরাজিতা বিল নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন তিনি। অভিষেক বলেন,' সামাজিক এই অপরাধকে সরাতে হলে একমাত্র উপায় আইন। রাজ্য সরকার বিল করেছে। কিন্তু দু’মাস ধরে রাষ্ট্রপতির কাছে এর উচ্চবাচ্য নেই। ধর্ষণ ছাড়াও, অ্যাসিড আক্রান্তদের জন্যেও কড়া বিধান রাখা আছে। কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে এটা আইনে পরিণত করতেই পারে। কেন্দ্রীয় সরকার আইন আনুক। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা ভোট দেবে। কিন্তু আপনারা আইন আনতে পারবেন না। কারণ আপনাদের দলেই ওরা বেশি করে  আছে।'