গোয়ালপোখরের পর এবার চোপড়ায় ছিনতাই অভিযুক্ত, গ্রামবাসীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পুলিশের

নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর দিনাজপুর - গোয়ালপোখরের পর এবার চোপড়ায় ছিনতাই হল অভিযুক্ত। চোপড়ায় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। গাড়িতে তোলার সময় গ্রামবাসীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় অভিযুক্ত মজিবুর রহমানকে। এরপর প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

    সূত্রের খবর, চোপড়ার বাসিন্দা মুজিবুর রহমান তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। অস্ত্র আইনে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। শনিবার সকালে তৃণমূল নেতা মুজিবুর রহমানকে ধরতে যায় পুলিশ। চোপড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে প্রিজন ভ্যানে তুলতে গেলে পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীদের একটি বড় অংশ। এরপর পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় তাদের। কয়েকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে বলে অভিযোগ। এই গন্ডগোলের ফাঁকেই অস্ত্র আইনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মুজিবুর রহমানকে পুলিশের হাত থেকে কার্যত ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় গ্রামবাসীরা। 

    খবর পেয়ে চোপড়া থানার আইসি সুরোজ থাপার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে বিক্ষোভকারীদের। পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন বলে খবর। 

     অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা অরিন্দম ভট্টাচার্য, “গোয়ালপোখরের ইস্যুতে এর আগে ডিজি বলেছিলেন আমার পুলিশকে কেউ গুলি করলে আরও চারটে গুলি করে মারব। তারপরও পুলিশের কলার ধরে টানছে। আদৌ কি পুলিশের কোনও ভূমিকা আছে? পার্টি অফিসটাই থানা করে দিক।”