পুলিশের জালে সুশান্ত ঘোষের হামলার 'মাস্টারমাইন্ড' গুলজার
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - কসবায় কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত গুলজার খান ওরফে আফরোজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধরা পড়ার পর গুলি করার কথা নিজেই স্বীকার করে সে। শনিবার বাইকে চেপে বিহারে পালানোর সময় পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে কলকাতা পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয় আফরোজকে। তারপরেই সুশান্ত ঘোষ ও তার সাগরেদ হায়দার আলির ওপর জমি দখলের অভিযোগ এনেছে গুলজার।
শনিবার গলসি থানা থেকে বেরোনোর সময় আফরোজ বলে, ‘‘সুশান্ত ঘোষ গুন্ডা। আমার জায়গা দখল করেছিল সেখ হায়দার আলি। এই হায়দার আলি সুশান্ত ঘোষের সাথী। আমার ২ হাজার স্কোয়ার ফিট জায়গা দখল করে হায়দার আলি। সেজন্যই সুশান্ত ঘোষকে মারার চেষ্টা করি। ইকবাল আমার সাথী"।
প্রসঙ্গত এই হামলার ঘটনায় এর আগে যুবরাজ সিং নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। যুবরাজকে জেরা করে পুলিশ জানে তিন মাস আগে বিহারের বৈশালী থেকে এসেছিল তিনজন। হাওড়া থেকে প্রথমে লঞ্চে করে বাবুঘাটে আসে তারা । তারপর সেখান থেকে পার্কসার্কাসে গিয়ে গুলজারের সঙ্গে দেখা করে ওই তিনজন। প্রথমে লেকটাউনের কালিন্দীতে থাকে তারা। সেখানে বসেই হামলার ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়। তারপর তাদের খিদিরপুরের একটি জায়গায় রাখা হয়। হামলার দিন সেখান থেকে প্রথমে ট্যাক্সিতে যায় তারা। তারপর স্কুটিতে স্পটে পৌঁছয়। তার ট্যাক্সিতে চেপেই অপারেশনে গিয়েছিল তারা। ফেরার পথেও তার ট্যাক্সি ব্যবহার করা হয়। রাতে কলকাতায় গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর এদিন সকালেই বিহারে পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করে তারা ।ট্যাক্সি চালককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।