অশোকনগরে বোমাবাজি, তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার অস্ত্র
নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগণা - রাতভর উত্তপ্ত অশোকনগর। বোমা, গুলি, রাজনৈতিক নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার সব মিলিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
সূত্রের খবর, রবিবার মধ্যরাতে অশোকনগর থানার অধীনে দীঘরা মালিকবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দীঘরা উত্তরপাড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তালসা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার মণ্ডল মদ্যপ অবস্থায় মোশারেফ হোসেনের বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ ও মহিলাদের উদ্দেশ্যে কটূক্তি করতে থাকেন। উত্তেজিত এলাকার যুবকেরা তাঁকে ধরে মারধর করে ছেড়ে দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই আনোয়ার তার দলবল নিয়ে ফিরে এসে মোশারেফ হোসেনের বাড়ির সামনে পরপর বোমা ছোড়ে। আতঙ্কে কাঁপতে থাকা এলাকাবাসীরা বাড়ির বাইরে বেরোতেই দুষ্কৃতীরা পাশের মসজিদের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা যুবকদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। সেই গুলিতে সাগর মন্ডল নামে এক যুবক গুরুতরভাবে আহত হন। আহত ওই যুবকে দ্রুত বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অশোকনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক চিন্তামণি নস্কর ও হাবরা সিআই অনুপম চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছায়। এলাকা জুড়ে চলে তল্লাশি অভিযান, তখনই তৃণমূলের বুথ সভাপতি সৈয়দ বশির উদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। ঘটনাকে ঘিরে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
ঘটনাপ্রসঙ্গ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পর পাড়ায় একজন মহিলাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। মহিলারা তাকে ধরে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে সবটা মিটিয়ে দিয়ে যায়, পুলিশ চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ওরা দলবল নিয়ে এসে বোম মারতে থাকে। পরপর তিনটি বোম মারে, তার মধ্যে দুটো ফাটে। কিছুক্ষণ পরে আমাদের দেখে গুলি চালাতে থাকে।
এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলের কার্যকর্তা তাপস মিত্র বলেন, " বর্তমানে তৃণমূলের নেতারা বোমা ও গুলির রাজনীতি করছে। বুঝতে পেরেছে যে ২০২৬ নির্বাচনে এদের বিদায় নিতে হবে তাই মানুষকে বিধ্বস্ত করার জন্য অস্ত্রের ব্যবহার করছে। রাম নবমীর পবিত্র দিনে যা করেছে তা অত্যন্ত নিন্দার। তবে অশোকনগর থানার পুলিশকে ধন্যবাদ তারা সক্রিয়তার সঙ্গে দোষীদের গ্রেফতার করেছে ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে।"