যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা,পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ - ইংরেজবাজারে এক মর্মান্তিক ঘটনা। যৌতুক না দেওয়ায় স্ত্রীর ওপর স্বামীর নারকীয় অত্যাচারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এমনকি পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, মালদহের ইংরেজবাজার থানার অমৃতি এলাকার ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরেই ওই গৃহবধূর ওপর পাশবিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠছে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। যৌন নিপীড়ন থেকে শুরু করে, প্রতিনিয়ত মারধর, বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া সবই ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। সম্প্রতি ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছিল তার স্বামী। সেই টাকা এনে দিতে না পারায় নির্যাতিতার গায়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনায় নির্যাতিতার মা ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার মা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ও রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে।
নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, অনেকদিন ধরে অনেক অত্যাচার চালাতো আমার মেয়ের ওপর। বাপের বাড়ি থেকে টাকা চেয়ে আনতে বলতো। কিন্তু আমার মেয়ে তা এনে না দেওয়ায় ওর গায়ে পেট্রোল ঢেলে মারার চেষ্টা করে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরেও কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই আজ আমরা বিচারের আশায় পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা চাই অপরাধীর শাস্তি হোক।
এই প্রসঙ্গে মালদহের বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ী বলেন, 'একজন গৃহবধূকে মারধর করা হয়েছে এমনকি পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করায় পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোনো তদন্ত শুরু করেনি এগুলো খুবই দুর্ভাগ্যজনক। যেখানে হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট বলে দিয়েছে অভিযোগ দায়ের করার পর প্রাথমিকভাবে পুলিশের তদন্ত শুরু করে দেওয়া উচিত। সেখানে পুলিশ গাফিলতি করছে , আসলে তৃণমূলের নেতাদের সুরক্ষা দিতেই পুলিশ ব্যস্ত। '
যদিও বিজেপির এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব হিসেবে তৃণমূল নেতা বলেন, ' বিজেপির যে কোনো অভিযোগের জবাব দেওয়ার দরকার আমাদের পড়ে না। নির্যাতিতার পরিবারকে এটাই বলার, আপনারা যেখানে গেছেন একদম ঠিক আছে পাশাপাশি আমাদের ওখানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসে ওখানে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের অফিসাররা আছেন তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করুন। এটা একটি পারিবারিক হিংসা, সামাজিক রোগ এটা নিয়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথা বলা যায়না। '