কেআইআইটি কাণ্ডে আটক বিজেপি নেতার ছেলে, বরখাস্ত ৪ কর্মী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ভুবনেশ্বর – 'কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি' (কেআইআইটি) কাণ্ডে নয়া মোড়। হস্টেল থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আটক করা হয়েছে বিজেপি নেতার ছেলেকে। বরখাস্ত করা হয়েছে ৪ কর্মীকে।
ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পিনাক মিশ্র জানিয়েছেন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে লখনউয়ের বিজেপি নেতা মনোজ শ্রীবাস্তবের ছেলেকে আটক করা হয়েছে। ৪ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মৃত ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, “আমরা শুধু জানি তদন্ত হচ্ছে। শিগগিরই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসবে। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল এবং মানসিকভাবে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল। এর জেরেই সে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা কিছু না বললেও পুলিশ ও কলেজ প্রশাসন সহযোগিতা করছে। তার ভাইও এখানে পড়াশুনা করছে, এবং সে ঘটনার আগের দিন আমাদের জানায়। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং আমি মনে করি সে এই সবের পিছনে আছে। তাঁর ফোন, ল্যাপটপ এবং ডায়েরি ফরেনসিক বিভাগে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন ও সরকার আমাদের সাহায্য করছে। শুনেছি শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। আমরা ন্যায়বিচার চাই, অন্য কিছু নয়।“
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় ২০ বছরের এক ছাত্রীর দেহ। তিনি নেপালের বাসিন্দা। এরপরই সোমবার একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও সংলগ্ন রাস্তা একেবারে অবরুদ্ধ করে দেন কয়েকশো ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এক সহপাঠীকে হারিয়েছেন তাঁরা।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। ভুবনেশ্বরের ডিসিপি পিনাক মিশ্র জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অদ্ভিক শ্রীবাস্তব নামের এক যুবকের নাম জড়িয়েছে। তাঁর জন্যই নাকি নেপালি তরুণী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এক নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে, “এই বিশ্ববিদ্যালয় নেপাল থেকে আসা সমস্ত আন্তর্জাতিক পড়ুয়ার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যেতে হবে।“