ভ্যাকসিন দেওয়ার পরই মৃত্যু শিশুর, এবার সন্তান হারার পাশে মীনাক্ষী
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি - গত বুধবার ভ্যাকসিন দেওয়ার পরই মৃত্যু হয় দেড় মাসের এক শিশুর। এই মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা কোচবিহার লাটাগুড়ির ক্রান্তি মোড়ে। সন্তানকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার সকালে সন্তান হারা এই পরিবারটির সঙ্গে দেখা করলেন ডিওয়াইএফআই এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জী।তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলেন এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদে পাশে দাঁড়াবেন তিনি। পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন মীনাক্ষী।
সূত্রের খবর, বুধবার লাটাগুড়ির ক্রান্তি মোড়ের বাসিন্দা কবিতা অধিকারী ও কৌশিক অধিকারীর দেড় মাসের শিশুকন্যাকে ঝাড়মাটিয়ালি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়। রাতে শিশুটির জ্বর আসে। তারপরই নাক,মুখ দিয়ে রক্ত বেরতে শুরু করে। শিশুকন্যাকে দ্রুত জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।এই ঘটনায় প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন সবাই। এই মৃত্যুর ঘটনায় এবার পাশে দাঁড়িয়েছেন ডিওয়াইএফআইয়ের সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে এসে তিনি বলেন, "বাচ্চাটা তো মারা গেছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারটা যা হারানোর হারাল। এখন অনেকগুলো প্রশ্ন পরিবারের মাথায় আসছে। প্রশ্নগুলোকে সমর্থন করছে স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা। যেমন, ভ্যাকসিন দিল তারপরই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করে দিল। রাজ্যে তো কতকিছু ঘটছে, তা বলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করে দেবে? এখানে যেভাবে জাল ওষুধের ছড়াছড়ি হয়েছে, যেভাবে জাল ওষুধ চলছে এবং সরকার নিজে বলছে জাল ওষুধ, ড্রাগ কন্ট্রোলার অফিসগুলো একটার পর একটা ওষুধ বন্ধ করছে। জলপাইগুড়িতেই দেখলাম।"
মেদিনীপুর প্রসঙ্গ টেনে এনে মীনাক্ষী বলেন, "জাল স্যালাইনের জন্য এক প্রসূতি মা মারা গেলেন। এই আতঙ্ক থেকে তো কেউ বের হতে পারছেন না। পরিবার বলছে, আরও একটা বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। যদি ওষুধের জন্য হয় তাহলে দ্রুত ধরা দরকার। আর যেন কোনও বাচ্চার এমন না হয়। বাবা মায়ের তো সবচেয়ে আবেগের, নাড়ির টান,. তারপরও বাবা মা বলছে, আর যেন কোনও বাচ্চার এমন না হয়। এটা আমাদের সাহস দিচ্ছে।"