ট্রেন হাইজ্যাক-কাণ্ডে খুন ২১৪ জন পাক সেনা, দাবি বালোচ বিদ্রোহীদের
নিজস্ব প্রতিনিধি, খাইবার পাখতুনখোয়া - বালোচ বিদ্রোহীদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পণবন্দিদের। পাক সেনার দাবি, ২৩ জন পাক জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। পালটা বালোচ বিদ্রোহীদের দাবি, একগুঁয়েমির জন্য খুন করা হয়েছে ২১৪ জন পণবন্দিকে সেনাকে।
পাকিস্তানের সেনার তরফে লেফ্টন্যান্ট জেনারেল শরিফ চৌধুরী জানিয়েছেন, "১১ মার্চ জঙ্গিরা রেল ট্র্যাকে দুপুর ১ টা নাগাদ বিস্ফোরণ ঘটায়। তারপর জাফর এক্সপ্রেস রুখে দেয়। রেল অফিসারদের মতে তখন ৪৪০ জন যাত্রী ছিলেন জাফর এক্সপ্রেসে।"
তিনি আরও বলেন, "এই জঙ্গিদের সঙ্গে আফগানিস্তানে তাদের সমর্থন ও মাস্টারমাইন্ডদের যোগাযোগ ছিল স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে। আপনারা দেখেছেন গতকাল ১০০ জন যাত্রী নিরাপদে মুক্তি পেয়েছেন জঙ্গিদের হাত থেকে। আজও বিশাল সংখ্যাক যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।"
উল্লেখ্য, বালোচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারে যাচ্ছিল জাফার এক্সপ্রেস। ট্রেনের মধ্যে প্রায় ৪৫০ জন যাত্রী ছিল। যাত্রা পথে আচমকা চলন্ত ট্রেনে হামলা চালায় বালোচ বিদ্রোহীরা। মাশকাফ, ধাদার এবং বোলানে পরিকল্পনা করেই হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে বিদ্রোহী সংগঠন অর্থাৎ বালোচ লিবারেশন আর্মি।
বিদ্রোহী সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রেলের ট্র্যাকে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। হাইজ্যাকের পেছনে রয়েছে মাজিদ ব্রিগেড, এসটিওএস ও ফাতেহ ব্রিগেড। হামলার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৬ জন নিরাপত্তাকর্মীর।মহিলা, শিশু এবং বালোচ যাত্রীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কেবল পাক সেনা, পুলিশ, সন্ত্রাসবিরোধী ফোর্স এবং আইএসআইয়ের আধিকারিকদের আটক করে রাখে।
কমপক্ষে ২৮ জন পাক সেনাকে খুন করেছে বিদ্রোহীরা। যদিও বালোচ বিদ্রোহীদের দাবি, কমপক্ষে ৫০ জন পাক সেনাকর্মীকে খুন করেছে তারা।