বিধায়কের বিক্ষোভে উত্তপ্ত বাঁকুড়ার বিদ্যালয় পরিদর্শক দফতর
নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া - বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে ব্যক্তিগত কাজে এসে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন শিক্ষক তথা বিজেপি বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘ সময় তাকে ফ্যানহীন ঘরে বসিয়ে রাখার অভিযোগ তুলে দফতরের কর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। পাশাপাশি দফতরে "টাকার খেলা চলে" বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন তিনি।
সূত্রের খবর, শালতোড়ার একটি স্কুলের শিক্ষক তথা বিজেপি বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় তার মেয়ের বিয়ের জন্য "পিএফ লোনের" আবেদন করেছিলেন। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে যান। তবে তাঁর অভিযোগ, অফিসে গিয়ে তাকে প্রায় ৪০ মিনিট ফ্যানহীন ঘরে বসিয়ে রাখা হয়। এতে অসন্তুষ্ট হয়ে তিনি কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি দফতরের বিরুদ্ধে "ফাইল আটকে রেখে টাকা নেওয়ার খেলার" অভিযোগ তোলেন। এই ঘটনার মাঝে দফতরের কর্মীদের সঙ্গে তার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এছাড়াও, এই বিষয়ে তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন বলে তিনি জানান।
এই বিষয়ে শিক্ষক তথা বিজেপি বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, " আমার পিএফ লোন নেওয়ার আবেদন করার পর, যখন ডি.আইয়ের কাছে আসি তিনি বলেন এই দায়িত্বে এ.আই অফিসার আছেন। কিন্তু তিনি যে অর্ডারটা আমাকে দিয়েছেন তাতে স্পষ্ট যে এইসবের মূল দায়িত্বে ডি আই অফিসারই আছেন। কিন্তু উনি ওনার দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমাকে বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে এমনকি আমার সঙ্গে কথা বলাও হয়নি। বিষয়টি আমি বিধানসভার স্পিকারের কাছে জানিয়েছি আমার আশ্বাস তিনি বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করবেন।'
যদিও এই প্রসঙ্গে ডি. আই অফিসের কর্মীরা জানিয়েছেন, ' বিধায়কের এই দাদাগিরিতে আমরা আতঙ্কিত। প্রতিদিনের কাজের ছন্দের মাঝে এসে তিনি যে ভাবে ধুমকী দিলেন একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এরম ব্যবহার একদমই কাম্য নয়। উনি মিথ্যে অভিযোগ আনছেন। ওনাকে বারবার বসতে বলা হয়েছিল কিন্তু উনি কোনো কথাতে কর্ণপাত করেননি। '
সমগ্র ঘটনা প্রসঙ্গ শিক্ষক সংগঠনের নেতা গোরাচাঁদ কান্ত বলেন, ' বিজেপি বিধায়ক দাদাগিরি করেছেন। আমাদের শিক্ষা দফতরের এ. আই ও ডি. আই আধিকারিকরা যথেষ্ট ভালোভাবে কাজ করে। কিন্তু উনি একজন শিক্ষক হয়ে এই ভাবে সরকারি অফিসে এসে ঝামেলা বা কর্মচারীদের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারেন না। এটা দণ্ডনীয় অপরাধ। ডি. আই অফিসারদের আমি বলব ওনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। দরকার পড়লে ডি.এম ও থানায় অভিযোগ দায়ের করা উচিত। এই ঘটনায় উনি রাজনীতির রঙ লাগাতে চাইছেন। একজন শিক্ষক বিধায়কের কাছ থেকে এরম আচরণ শোভা পায়না। '