বালিঘাট দখল নিয়ে বোমাবাজি বীরভূমে, জখম ১
নিজস্ব প্রতিনিধি, বীরভূম - বেআইনি বালি খাদান দখল নিয়ে বোমাবাজি। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত বীরভূমের কাঁকরতলা থানা এলাকার জামালপুর। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন এক গ্রামবাসী। ঘটনায় জড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদলের নাম। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে।
সূত্রের খবর, কাঁকরতলা থানা এলাকার জামালপুর গ্রামে অজয় নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা হয় বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে এই বালির ঘাট ও বালির টাকার ভাগ নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল দীর্ঘদিন ধরে ৷ তৃণমূলের স্থানীয় নেতা স্বপন সেন ও উজ্বল হক গোষ্ঠীর মধ্যে এই দ্বন্দ্ব চলছিল৷ সেই দ্বন্দ্বই মঙ্গলবার সকালে চরম আকার ধারণ করে৷ ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় বোমাবাজি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ৷ এখনও পর্যন্ত ছজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহল চলছে।
বোমার আঘাতে সাত্তার নামে এক যুবক গুরুতর জখম হন। তাঁর একটি পা বোমার আঘাতে উড়ে গিয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নাকরাকেন্দা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডল বনাম কাজল শেখের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এই বোমাবাজির ঘটনাকে সেই দ্বন্দ্বের ফল বলছে বিরোধী দল। এই বিষয়ে দুবরাজপুরের বিধায়ক বিজেপির অনুপ সাহা বলেন, "অনুব্রত ও কাজলের লোকেরা বালির কাটমানি, তোলার টাকা নিয়ে বোমাবাজি করেছে ৷ ধিক্কার জানাই ৷ কোথা থেকে এল এই বোমা । মুখ্যমন্ত্রী যখন বেআইনি বালি নিয়ে কথা বলছেন, তখন তাঁর দলের লোকজন গ্রামে বোমাবাজি করছে।"
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "এটা দুষ্কৃতীদের নিজের লড়াই। বালির গাড়ি থেকে টাকা তোলা নিয়েই এই বিবাদ। কোনও রাজনৈতিক রং না দেখে পুলিশকে ঘটনার তদন্ত করতে বলা হয়েছে।"