বয়কট বাংলাদেশ! একাধিক বাংলাদেশীকে সেবা দিতে না করল একাধিক জেলা
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা - 'আগে দেশ পরে ব্যবসা' জানিয়ে ত্রিপুরার পর এবার বাংলাদেশ বয়কটের ডাক দিল পশ্চিমবঙ্গ। মালদহ, জলপাইগুড়ি, নদীয়া সহ একাধিক জেলায় বাংলাদেশী গ্রাহককে পরিষেবা দিলেন না একাধিক ব্যাবসায়ী।
সন্ন্যাসী চিন্ময়দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতার ও সংখ্যালঘুদের উপরে নিপীড়নের চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ থেকে। সেইসঙ্গে ভারতবর্ষের অবমাননা করা হয়েছে বাংলাদেশে। তারই প্রতিবাদে গোটা রাজ্যে শুরু হয়েছে একের পর এক বাংলাদেশ বিরোধী প্রতিবাদ। বুধবার বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য দরজা বন্ধ করল মালদার হোটেল-রেস্তোরাগুলি। এই একই পথে হাঁটল জলপাইগুড়ি, নদীয়াসহ একাধিক জেলা। উত্তরবঙ্গজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশি পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। যার সমর্থনে পোস্টারিং চলছে। পাশাপাশি শুক্রবার বাংলাদেশীদের শিলিগুড়ির কোনো হোটেলে পরিষেবা না দেওয়ার দাবি জানায় বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ। সেই দাবি জানিয়ে শিলিগুড়ি গ্রেটার হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের দ্বারস্থ হল মহামঞ্চ। এদিন বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চের তরফে তাদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয় শিলিগুড়ি গ্রেটার হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে।
বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চর সভাপতি বিক্রমাদিত্য মন্ডল বলেন, "যেভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে, যেভাবে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে, যেভাবে বাংলাদেশীরা ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিবাদ। শিলিগুড়ির কোন হোটেলে যাতে বাংলাদেশীদের ঠাঁই না দেওয়া হয় সেই দাবি হোটেল মালিকদের জানানো হয়েছে। আর যারা আগে থেকে হোটেলে আছেন তাদেরও অবিলম্বে বের করে দেওয়া হোক যাতে তারা দেশে ফিরে যেতে পারে। আগামীতে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসক সংগঠনের কাছেও এই দাবি জানানো হবে যাতে তারা কোন বাংলাদেশীকে পরিষেবা না দেন।"
শুধু সাধারণ মানুষই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও এক গুচ্ছ দাবি জানিয়েছে স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ। আগেই বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগ চেয়েছেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। এ বার মঞ্চের দাবি, সব রকম বাংলাদেশি পণ্য আমদানি ও বিক্রয় বন্ধ করা হোক। ওই দেশে তুলো-সহ অন্যান্য সামগ্রীর রফতানি বন্ধ রাখা হোক। মঞ্চের লক্ষ্য, বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের আন্তর্জাতিক বাজার বন্ধ করা। এমনকি, সাময়িক ভাবে হলেও বাংলাদেশিদের ভারতে চিকিৎসার ভিসা দেওয়া বন্ধ রাখা হোক বলে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছে মঞ্চ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সমস্ত নাগরিকের ভিসা বাতিলের দাবিতে সংগঠনের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তরফে।