চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ‘বদলা’ মিটিয়ে সেমিতে ভারত, ট্রোলিংয়ে বিদ্ধ পাকিস্তান
নিজস্ব প্রতিনিধি, দুবাই – ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। ঠিক ৮ বছর পর বদলার ম্যাচে কার্যত টুর্নামেন্ট থেকেই পাক ব্রিগেডকে ছিটকে দিল রোহিত বাহিনী। বিরাট কোহলির মারকাটারি ব্যাটে নতজানু পাকিস্তান। সেমির পথে মেন ইন ব্লু।
নিজেদের ‘বিশ্বমানের’ প্রমাণ করার জন্য দীর্ঘ ২৯ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল পিসিবি। তাও আবার হাইব্রিড মডেলে। কিন্তু দু শতকের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করে কি হল? মাত্র ৪ দিনেই ‘লজ্জাবতীর’ মতো নুইয়ে পড়েছে পাকিস্তান।
প্রথমে নিউজিল্যান্ড পরে ভারতের কাছে হারতেই বিদায়ী ঘণ্টা বেজে গেছে পাক ব্রিগেডের। সেমিতে যেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের উপর। বেঙ্গল টাইগার্সরা জিতবে, পাকিস্তান হারাবে বাংলাদেশকে, ভারতের কাছে হারবে কিউইরা - তবেই এককথায় নিজেদের দমে নয়, অন্যের উপর ভরসা করে টুর্নামেন্টে আশার আলো দেখছে আফ্রিদিরা।
একটা সময় ভারত-পাক ম্যাচ মানেই ছিল রুদ্ধশ্বাস লড়াই, পড়তে পড়তে নাটক, সেয়ানে সেয়ানে টক্কর, রোমাঞ্চে ভরা চিত্রনাট্য। তবে গত কয়েক বছরে সেই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ ফিকে হয়ে গিয়েছে। একপেশে ভাবে জয় পাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া।
মহারণ শেষে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একের পর এক ট্রোলিংয়ে বিদ্ধ পাকিস্তান। ম্যাচ শুরুর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছিলেন, “আজ পাকিস্তান না জিতলে নাম বদলে ফেলব”। ভারতকে তো হারাতে পারল না পাকিস্তান। এখন নেটিজেনদের প্রশ্ন করছেন, “প্রধানমন্ত্রীর নতুন নাম কী হবে? কখন নাম বদলাবেন পাক প্রধানমন্ত্রী?”
আবার অনেকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের তুলনা করেছে। পাকভূমে টিভি ভাঙার রেকর্ডের প্রসঙ্গ তুলে এক্স হ্যান্ডেলে দিল্লি পুলিশ লিখেছে, “ওই দেশ থেকে কী সব বিকট শব্দ আসা শুরু হয়ে গেছে। আশা করি, সেসব শুধুই টিভি ভাঙার শব্দ।“