দিঘা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনে সঙ্গী সন্ন্যাসী রাধারমন দাস
নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর - তিনদিনের দিঘা সফরে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দির করলেন তিনি। সেইসঙ্গে মন্দিরের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রসিডেন্ট রাধারমণ দাস, মুখ্যসচিব, জেলাশাসক ও বিধায়ক।
বুধবার দুপুরে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা মন্দির চত্বর অনেকটা ঘুরে দেখেন তিনি। খুঁটিয়ে দেখেন বিগ্রহের কাজ কতদূর এগিয়েছে। সঙ্গে মন্দির উদ্বোধনের পর সেখানে দর্শনার্থীরা গেলে সবটা যাতে ভালোভাবে সামলে নিতে পারে মন্দির কর্তৃপক্ষ সেদিকে নজর দিতে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর সঙ্গে মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, জেলাশাসক, বিধায়ক ছাড়াও রয়েছেন কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। বিকেলে জেলাশাসকদের নিয়ে তিনি বৈঠক করবেন। সেখানেও হাজির থাকবেন রাধারমণ দাস।
বুধবার মমতা জানান, এ বার থেকে রথযাত্রা শুরু হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে। সোনার ঝাড়ুর জন্য নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেবেন। তিনি বলেন, ‘‘সমুদ্রসৈকতে একটি জগন্নাথ মন্দির তৈরি করব বলে ঠিক করেছিলাম। আমার সঙ্গে সরকারি আধিকারিকেরা ছিলেন। তিন বছর পর সেই কাজ শেষ হল। ট্রাস্টির নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্যসচিব। সদস্যদের মধ্যে থাকছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, ইসকন এবং সনাতন ধর্মের প্রতিনিধি এবং দিঘার জগন্নাথ দেবের মন্দিরে যিনি পুজো করেন, তিনি। এক জন এডিএম এই মন্দির-সহ পর্যটন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। এখানে আমি কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চাই না। আমি কিন্তু ট্রাস্টের মেম্বার নই। এখানে যা করছি স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে করছি। বাকিটা ট্রাস্টির সদস্যেরা করবেন। ’’