প্রকাশ্যে দালালরাজ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে
নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া - আবারও সরকারি হাসপাতালে প্রকাশ্যে চলছে দালালরাজ। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যালে প্রকাশ্যেই টাকা নিয়ে রোগী ভর্তি করছেন দালালরা। হাসপাতালে ট্রলি বয় না থাকায় বাধ্য হয়ে দালালদের সাহায্য নিতে হচ্ছে রোগীদের। অসহায়তার সুযোগ নিয়ে ইচ্ছেমতো দর হাঁকছে দালালরাও।
আর জি কর কান্ডের পর রাজ্যের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হয়েছে। চালু হয়েছে রাতের সাথি প্রকল্পও। কিন্তু বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মতো হাসপাতালগুলিতে এখনও বহিরাগত দালালদের রমরমা। এই কলেজের বিভিন্ন ওয়ার্ড মিলিয়ে ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা এক হাজারের কাছাকাছি। কিন্তু হাসপাতালে কর্মীর অভাব। যার জন্যে হাসপাতাল জুড়ে ঘাঁটি গেড়ে বসেছে দালালরাজ। নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট সংখ্যক ট্রলি বয় থাকার কথা। নির্দিষ্ট সংখ্যক টলি না থাকার কারণেই রোগীদের সাহায্য নিতে হচ্ছে দালালদের একাংশের
রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। দালাল দৌরাত্ম্যের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। তাঁর সাফাই, পর্যাপ্ত গ্রুপ ডি কর্মী না থাকার সুযোগ নিচ্ছেন দালালরা।
এই বিষয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি আইডেন্টিফাই যাতে করা যায়। সেখানের স্টাফদের ড্রেসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সিকিউরিটিও বেড়েছে অনেকটা। দালাল চক্র কমেছে অনেকটাই। তবে এখনও গ্রুপ ডি কর্মীর সংখ্যা বাড়েনি সেভাবে। ফলে এমার্জেন্সিতে ট্রলি ঠেলে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগেই দালাল চক্রে পড়ছে রোগীর পরিজনরা। অনেক সময় ওঁরাই বলছে ওঁরা বাড়ির লোক।'
আবার সংবাদমাধ্যমের সামনে এক দালাল জানায়, "অনেক বেকার ছেলে এটা করে কিছুটা পয়সা পাচ্ছে। আমরা খুব ন্যূনতম টাকা নেই। তবে অনেক ছেলে ১০০০ টাকা, ৫০০ টাকা নিচ্ছে আর এর ফলে আমাদের দুর্নাম হচ্ছে।'