ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যুপুরী তিব্বত, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬
নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঠমান্ডু – নতুন বছরের শুরুতেই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় নেপাল-তিব্বত সীমান্তে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৬। গুরুতর আহত হয়েছেন ১৮৮ জন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ।
সূত্রের খবর, তিব্বতে মৃতের সংখ্যা ৯৫। বলাই চলে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে তিব্বত। ভূমিকম্পের জেরে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে ৩ হাজার ৬০৯ টি বাড়ি। ঘটনাস্থলে রয়েছে ১০৬ টি অ্যাম্বুল্যান্স। প্রায় ৫০০-র বেশি কর্মী উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তাঁবু, খাবার, জেনারেটর।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমিলজি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে প্রথম কম্পন অনূভূত হয়। কম্পনের উৎসস্থল ছিল নেপাল-তিব্বত সীমান্তের কাছে শিজ্যাং। মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.১।
প্রথম কম্পনের ৩০ মিনিটের মধ্যেই ২ বার ৪.৭ মাত্রায় আফটার শকে কেঁপে ওঠে নেপাল-তিব্বত সীমান্ত। এর ৫ মিনিট পর ফের কেঁপে ওঠে শিজ্যাং। তখন রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৯। প্রথম আফটার শক ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার ও দ্বিতীয় আফটার শক মাটি থেকে ৩০ কিলোমিটার গভীরে হয়।
কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি থেকে অসম, বিহার সহ উত্তর ভারতের বিরাট অংশ, ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকা, কাঠমান্ডু, সিকিম, চীন, ভুটান, বাংলাদেশে। আতঙ্কের জেরে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।