"সিপিএমের ব্রিগেড ফুচকার মেলা!" কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউটাউন - ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে ফের বিতর্কে দিলীপ ঘোষ। বামেদের ধর্মঘট, তৃণমূলের শিল্পনীতি, এসএসসি দুর্নীতি থেকে শুরু করে সিপিএম ও রাজ্য সরকারকে একের পর এক তির ছুঁড়লেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
সূত্রের খবর, সোমবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে হাঁটতে এসেছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক রাজনৈতিক বিষয়ে সরব হন তিনি। প্রথমেই গতকালের ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে সিপিএমের ২০মে ঘোষিত ধর্মঘট প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, " সিপিএম ধর্মঘট ডাকছে বা কি করছে তাতে কি বা যায় আসে ভারতবর্ষের লোকেদের। তারা আছে এটা বোঝানোর জন্য মাঝেমধ্যে এ ধরনের ব্রিগেড করে। যদি ঠিকই ছিল তাহলে মানুষ উনাদের রাখল না কেন? ২০২৬ এর বদল নিয়ে ওনারা দিবাস্বপ্ন দেখছে।"
মুখ্যমন্ত্রীর আজ শালবনী যাওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, " মুখ্যমন্ত্রী তার জীবনে বহু শিলান্যাস করেছে তার মধ্যে কত জায়গায় ফ্যাক্টরি আর উৎপাদন হয়েছে তার কোন রিপোর্ট তিনি দেখাতে পারেননি। ১৪ বছর ধরে যে বেঙ্গল সাবমিট হচ্ছে তাতে একই লোক আসে একই ভাষণ দেয়। আগে উনি এই সামিটে কত টাকা ইনভেস্ট হয়েছে আর কতগুলো ফ্যাক্টরি হয়েছে তার রিপোর্ট দিক।"
এসএসসি দুর্নীতি মামলার প্রসঙ্গে টেনে দিলীপ ঘোষ বলেন, " এই অভিযান তো চলতেই থাকবে কিন্তু সেটা সমাধান কতটা হবে সেই নিশ্চয়তা নেই। মমতা ব্যানার্জি যদি সত্যিই বলে থাকেন চাকরি দেবেন তাহলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে কেন বলছেন না যে ১৮ হাজার যোগ্য এদের চাকরি ফেরত দিন সেটা উনি কিছুতেই প্রকাশ্যে বলবেন না। কারণ জানেন বাকি আট হাজার চাকরি প্রার্থীর ক্ষোভ তার বাড়ির সামনে পৌঁছে যাবে।"
পাশাপশি মুর্শিদাবাদ অশান্তি ও বিজেপি নেতৃত্বের অবস্থান নিয়েও বক্তব্য রাখেন তিনি। বলেন, " ঘটনার দিন আমি সেখানেই ছিলাম। পুলিশ আমাকে যেতে দেয়নি। দল সবসময় সেখানের মানুষের পাশে আছে। দলের প্রতিনিধি হিসেবে সুকান্তবাবু যাচ্ছেন।"
এছাড়াও সিপিআইএম নেতাদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, " সিপিএমের ব্রিগেডে যে কজন লোক এসেছে পশ্চিমবঙ্গের সিপিএমের ততোগুলোই সাপোর্টার আছে। এমএলএ বা বিধায়ক কারোরই জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই। দূর্গা পূজার মতন এখন সিপিএমেরও একটা বার্ষিক ব্রিগেড হয় এ ছাড়া আর কিছুই না। তৃণমূলের টাকাতেই সিপিএমের পার্টি অফিস চলে। তৃণমূলই স্যালাইন দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে ওদের।"