চুঁচুড়া পুরসভার মধ্যে চরম বাগবিতণ্ডা, ঝামেলায় জড়ালেন স্বাস্থ্য সিআইসি ও পুরপ্রধান
নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি - চুঁচুড়া পৌরসভায় বিধায়কের উপস্থিতিতে আলোড়ন। বিধায়ক পৌরসভা ছাড়তেই চরম ঝামেলা স্বাস্থ্য সিআইসি জয়দেব অধিকারী ও পৌর প্রধানের অমিত রায় মধ্যে। মঙ্গলবার সকাল দশটায় হুগলী চুঁচুড়া পুরসভায় উপস্থিত হন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি চলে যাবার পরেই অস্থায়ী কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন ও পৌরসভার আর্থিক সংকট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু হয় সমস্যা।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন বাকি। সেই নিয়ে প্রায় দীর্ঘ কুড়ি দিনের বকেয়া বেতনের দাবিতেন আন্দোলন করছিলেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ও সুধার দায়িত্বপ্রাপ্ত জলি চৌধুরীর হস্তক্ষেপে প্রায় ৩ কোটি টাকার লোন মঞ্জুর করা হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে অবশেষে কর্মচারীদের দুমাসের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের পর এদিন বিধায়ক অসিত মজুমদার পুরসভায় উপস্থিত হয়ে সমস্ত দফতর পরিদর্শন করেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক জানান, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই লোন মঞ্জুর করা হয়েছে। পুরসভাকে যথাসময়ে বকেয়া বেতন মিটিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পৌরসভা প্রায় ৬ কোটি টাকার ঘাটতিতে চলছে। এই আর্থিক সংকটের সমাধানে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।"
বিধায়ক পুরসভা ছাড়ার পর পুরপ্রধান অমিত রায় তার মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, "পৌরসভা একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। বিধায়ক আমাদের অভ্যন্তরীণ কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।" এই বক্তব্যের পরই পৌরসভার অভ্যন্তরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এই নিয়ে পুরপ্রধান ও স্বাস্থ্য সিআইসি জয়দেব অধিকারীর মধ্যে শুরু হয় চরম বাগবিতণ্ডা। সঠিক সময়ে হাজিরা ও স্বাক্ষর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র তর্ক হয়, যা রীতিমতো অশান্তির রূপ নেয়। এই ঘটনার ফলে চুঁচুড়া পৌরসভার অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা আরও প্রকট হয়েছে। অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন সমস্যার সমাধান হলেও পৌরসভার আর্থিক সংকট এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের মধ্যে বিরোধ ভবিষ্যতে পরিষেবা প্রদানে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষ এবং কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।