পাথরপ্রতিমা বিস্ফোরণে গ্রেফতার কারখানার মালিক চন্দ্রকান্ত বণিক, এখনও পলাতক তুষার

নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা - সোমবার রাতে পাথরপ্রতিমায় অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় একই পরিবারের ৯ জনের। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে কারখানার মালিক চন্দ্রকান্ত বণিককে আটক করে পুলিশ। দিনভর জেরার পর গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তবে এখনও পলাতক কারখানার আর এক মালিক তথা ধৃতের ভাই তুষার বণিক। 

       সূত্রের খবর, বাসন্তী পুজো উপলক্ষে সোমবার রাতে পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানা এলাকার বাসিন্দা চন্দ্রকান্ত বণিকের বাড়িতে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হচ্ছিল। রাত ৯ টা নাগাদ আচমকাই বাজির স্তূপে আগুন ধরে যায়। তা থেকেই বিপত্তি। জীবন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হন পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই। রাতেই শিশু-সহ ৭ জনের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় আরও ২ জনের। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন কারখানার দুই মালিক চন্দ্রকান্ত বণিক ও তুষার বণিক। মঙ্গলবার সকালে চন্দ্রকান্তকে আটক করে পুলিশ। দিনভর জেরার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এখনও বেপাত্তা তার ভাই তুষার। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

       জানা যাচ্ছে দুই ভাই চন্দ্রকান্ত ও তুষারের বিরুদ্ধেই খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, শুধুমাত্র ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স ছিল চন্দ্রকান্ত বণিক ও তুষার বণিকের কাছে। পঞ্চায়েতে আবেদন করে এই লাইসেন্স পেয়েছিল তারা। লাইসেন্স ছিল বড়ভাই চন্দ্রকান্তের স্ত্রী সান্ত্বনা বণিকের নামে। তবে বাজির জন্য কোনও ধরনের বৈধ লাইসেন্স ছিল না। এই জন্যে ২০২২ সালে গ্রেফতার হয় চন্দ্রকান্ত। জামিন পাওয়ার পর মাত্র কয়েকশ টাকার বিনিময়ে সেই ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করায় সে।