পুলিশকে কড়া বার্তা ফিরহাদ হাকিমের
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - তৃণমূল কংগ্রেসের বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে শনিবার কলকাতা পুরসভায় বসেই সোচ্চার হন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন পুরসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘অ্যাক্ট নাও। এনাফ ইজ এনাফ। উত্তরপ্রদেশের কালচার এখানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। বাংলা সংস্কৃতির জায়গা। পুলিশকে বলব, অ্যাক্ট নাও। পুলিশ কোথায়? সুশান্তের পরিবারের পাশে আমি আছি। রাজ্যে অস্ত্র ঢুকছে কীভাবে?’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মেয়র বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে বলেছে আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতীদের আটকাতে। কিন্তু তবুও আটকানো যাচ্ছে না। অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বলার পরেও কেন অস্ত্র ঢুকছে? পুলিশের ইন্টেলিজেন্স কোথায়? ডু ইট নাও। পুলিশকে বলছি, দ্রুত গ্রেফতার করো। আমি চাই, কোনও অপরাধী থাকবে না। ১০৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় দুষ্কৃতী আটকানোর কথা পুলিশের। আমার কাজ পুর পরিষেবা দেওয়া। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। মরতে ভয় পাই না। কিন্তু হোয়ার ইজ দ্য নেটওয়ার্ক। মুঙ্গের থেকে আর্মস আসছে। আমাদের কোনও গোষ্ঠী নেই। আমরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠী। এটা কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। এখানে কিছু হলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সবার আগে আসে। বিজেপির কেউ মরলেই ওরা বলে তৃণমূল মেরেছে। আর তৃণমূলের কারও কিছু হলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলা হয়। যেই করে থাকুক না কেন দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।'
প্রসঙ্গত, ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের বাড়ি কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সেই বাড়ির সামনেই শুক্রবার স্কুটি করে এসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে সুশান্তবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আততায়ী। যদিও বন্দুক লক হয়ে যাওয়ায় গুলি বের হয়নি। প্রাণে বেঁচে যান সুশান্ত ঘোষ। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা তদন্ত শুরু করেছেন।