আরাবুল ইসলামের গাড়ি থেকে লাঠি, পাইপ উদ্ধার করল পুলিশ
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা - সোমবার আলগা মনোভাব রাখলেও বৃহস্পতিবার আরাবুলের ক্ষেত্রে কড়া নজর দিল পুলিশ আধিকারিকরা। ভাঙর ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে ঢোকার আগে আরাবুল ইসলামের গাড়ি চেকিং করলো পুলিশ। তারই পাশাপাশি যে সমস্ত কর্মী সমর্থকরা এসেছিল তাদেরকে ব্লকের সামনে থেকে কার্যত সরিয়ে দেয় পুলিশ কর্মীরা। আদালতের নির্দেশে সপ্তাহে দুদিন ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে আসার অনুমতি পেয়েছিল আরাবুল ইসলাম। সোমবার প্রথম আরাবুল ইসলাম ভাঙড় দুই পঞ্চায়েত সমিতিতে আসে। সেখানে আরাবুল ইসলামের পাশাপাশি বহু অনুগামী উপস্থিত হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার তা আর হল না।
বৃহস্পতিবার আরাবুল ইসলামের সঙ্গে যে সমস্ত গাড়ি এসেছিল তা ব্লকের সামনে থেকে সরিয়ে দেয়। অন্যদিকে আরাবুল ইসলামের গাড়ি ও চেকিং করে তারপরেই পঞ্চায়েত সমিতির ভিতরে ঢুকতে দেয় পুলিশ আধিকারিকরা। আরাবুল ইসলাম সমিতিতে পৌঁছে গেলে তার অনুগামীদের ঢুকতে দেওয়া হয় না অফিসে। সেইসঙ্গে চেকিংয়ের পর আরাবুলের গাড়ি থেকে লাঠি এবং প্লাস্টিকের পাইপ উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও আরাবুল ইসলাম যখন ভাঙর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে ঢুকছিল সেই সময় গেটের মুখে একবার গাড়ি পরীক্ষা করলেও সেভাবে কিছু মিলিনি বলেই দাবি আরাবুল অনুগামীদের। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও দেয়া হয় সেখানে আরাবুল ইসলামের গাড়ি থেকে লাঠিসোটা উদ্ধার হতে দেখা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
অন্যদিকে আরাবুল অনুগামী বৃহস্পতি মন্ডল যখন পঞ্চায়েত সমিতিতে ঢুকছিল সেই সময় শওকত মোল্লার অনুগামী খায়রুল ইসলামের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। তারপরেই পুলিশকর্মীরা গিয়ে অনুগামীদের পঞ্চায়েত সমিতি থেকে বার করে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পঞ্চায়েত সমিতির ভিতরে। যদিও গোটা ঘটনাকে কড়া হাতে দমন করে উত্তর কাশিপুর থানার পুলিশ কর্মীরা।