'সততার কোনো দাম নেই', হাহাকার চাকরিহারাদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়দান করল সুপ্রিম কোর্ট। ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেটাই বহাল রাখল শীর্ষ আদালতে। এই রায় শুনে কার্যত ভেঙে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারিয়েছে জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

       "এসসির দুর্নীতির মাশুল আমাদের দিতে হল", সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়তে পড়তে একথাই বললেন চাকরিপ্রাপকরা। সর্বোচ্চ আদালতে আজই এসএসসি-র নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত রায়দান ছিল। এর আগে চাকরিপ্রাপকরা আশা করেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করতে পারবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে তারা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই ভেঙে পড়লেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। এক শিক্ষক বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে সততার কোনও দাম নেই"। অপর একজন প্রার্থী বলেন, "এর থেকে বলতে পারত যে আপনারা সুইসাইড করে নিন, আমরা কিছু করতে পারছি না"।

       বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতার শহিদ মিনারের কাছে ২০১৬ সালের এসএসসির চাকরিপ্রাপকরা জমায়েত করেছিলেন। রায় শোনার পর তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁদের একটাই বক্তব্য, "দুর্নীতি না করেও দুর্নীতির দায়ে এত বছর চাকরি করেও আমরা চাকরি হারালাম। এসএসসি-র দুর্নীতির মাশুল আমাদের দিতে হল।" এক চাকরিপ্রাপক বললেন, "প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির স্বীকার হলাম আমরা। এর দায় রাজ্য সরকারের। আমি জানি না, এরপর কী হবে? আমাদের কলঙ্কিত করা হল। এমন যে রায় হতে পারে এটা আমরা ভাবতেই পারিনি।"