বজবজ-নোদাখালিতে উদ্ধার বিপুল পরিমাণে বাজি, ধৃত ৩

নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা - পাথরপ্রতিমায় বিস্ফোরণের পর অ্যাকশন মোডে পুলিশ। জেলাজুড়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন। আর তাতেই বজবজ-নোদাখালি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণে বাজি। পৃথক জায়গা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

       সূত্রের খবর, জেলা জুড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। সেই জালে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবার পুলিশ নোদাখালি থানার মোহনপুর গ্রামের দাসপাড়া এবং প্রামাণিকপাড়ায় অভিযান চালায়। নোদাখালির দাসপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সৌম্যদীপ দাস নামে এক ব্যক্তিকে। উদ্ধার করা হয়েছে ৪৬ কেজি বাজি তৈরির মশলা ও সরঞ্জাম। অন্যদিকে বজবজ থানার চিংড়িপোতা এলাকাতেও অভিযান চলে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০ কেজি বাজি। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি মহেশতলা থানার পুটখালি বলরামপুর এলাকাতেও অভিযান চলে। সেখান থেকেও উদ্ধার হয়েছে ৬২ কেজি বাজি। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। ধৃত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধেই আলাদা আলাদাভাবে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের এদিন আলিপুর আদালতে তোলা হয়।

     প্রসঙ্গত, বাসন্তী পুজো উপলক্ষে সোমবার রাতে পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানা এলাকার বাসিন্দা চন্দ্রকান্ত বণিকের বাড়িতে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হচ্ছিল। রাত ৯ টা নাগাদ আচমকাই বাজির স্তূপে আগুন ধরে যায়। তা থেকেই বিপত্তি। জীবন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হন পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই। রাতেই শিশু-সহ ৭ জনের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় আরও ২ জনের। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন কারখানার দুই মালিক চন্দ্রকান্ত বণিক ও তুষার বণিক। মঙ্গলবার সকালে চন্দ্রকান্তকে আটক করে পুলিশ। দিনভর জেরার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এখনও বেপাত্তা তার ভাই তুষার।