image

নারীশক্তি / 18 February, 2025

স্বামী সবসময় করে অবহেলা ! স্বামীর ভালোবাসা না পেলেও পাশে পেয়েছেন নিজের সন্তানকে

টিভি নাইনটিন এক্সক্লুসিভ - অনেকে মনে করেন ভালোবাসার চূড়ান্ত রূপ হলো বিয়ে।তবে অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় বিয়ের পর ভালোবাসায় ঘাটতি চলে আসে।তবুও মানুষ একে অপরের প্রেমে পড়ে ভবিষ্যতে একসঙ্গে থাকার স্বপ্ন দেখে,ভালোবেসে একে অপরের সঙ্গে থাকবে বলে।তবে সেই ক্ষেত্রে যদি ভালোথাকাটাই শেষমেশ না হয়ে ওঠে তখন বিচ্ছেদই শেষ উপায়।আবার একটি শান্তিময় বিচ্ছেদ একে অপরের প্রতি ঘৃণার তুলনায় একটু হলেও ভালো।কঙ্কনা বাগচীও নিজের সম্পর্কের ইতি টেনেছেন শান্তিপূর্ণ পথে।তবে জীবন তার থেমে থাকেনি।নিজের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে তৈরি করেছেন নিজের পরিচয়।চলুন জেনে নেওয়া যাক কঙ্কনার লড়াইয়ের কাহিনী।

 

মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে কঙ্কনা পড়াশোনা শেষ করে নিজের পছন্দ করা পাত্র অনন্তের সঙ্গে পরিবারের সম্মতি নিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।তাদের ১১ বছরের ভালোবাসা পরিণয় পেলেও তাদের আরও একসঙ্গে পথচলাটা বাকি ছিল।বিয়ের পর থেকেই অনন্তের কঙ্কনার প্রতি যে আকর্ষণ,আগ্রহ,ভালোবাসা ছিল সেটি ধীরে ধীরে নিভে যেতে শুরু করে।এই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া ঝামেলা হতেই থাকতো।এইভাবে তিন বছর পার হয়ে যায় এবং একটি পুত্র সন্তানের মা হন কঙ্কনা। সন্তান জন্মের পর থেকে অনন্তের কঙ্কনার প্রতি আকর্ষণ আরও যেন কমতে থাকে।রাতের পর রাত অফিসের নাম করে বাড়ির বাইরে থাকতে শুরু করে অনন্ত।নিজেদের মধ্যে এতটাই দূরত্ব তারা বাড়িয়ে ফেলে যে সন্তানের সামনে একে অপরের উপর বিভিন্ন কুমন্তব্য করতেও তারা পিছুপা হয় না।এই বিষয়টি বেশি বাড়ার আগে তারা নিজেদের ও সন্তানের ভালো চেয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি নিয়ে নেয়।ডিভোর্সের সময় একে অপরকে কথা দেয় যে তারা সারাটাজীবন একসঙ্গে কাটাতে না পারলেও প্রয়োজনে অবশ্যই যোগাযোগ করবে এবং তারা নিজেদের কোনো ভালো স্মৃতি ব্যতীত খারাপ স্মৃতি মনে রাখবে না। 

 

কঙ্কনা ও অনন্তের সম্পর্কের ইতি হলে সে তার সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসে।এরপর থেকেই শুরু হয় কঙ্কনার একার লড়াই।পরিবার,সামাজিক, মানসিক অশান্তি থাকলেও কঙ্কনা নিজের পয়সায় তার ছেলেকে বড় করে তুলতে চেয়েছেন তাই ছেলের নামেই একটি খাতা কলমের দোকান খোলার পরিকল্পনা করেন।সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে তিনি নিজের মা,বাবার সাহায্য নেন।তারপর ছেলেকে তাদের কাছে রেখে নিজেই একা পাইকারি বাজার থেকে জিনিসপত্র গুছিয়ে আনতে শুরু করেন। ব্যবসাকে সঠিকভাবে দাঁড় করানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সহায়তাও নেন কঙ্কনা।ধীরে ধীরে তার ছেলে যেমন বড় হতে থাকে তেমনই কঙ্কনার ব্যবসাও জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে।স্কুলের সকল ছাত্রছাত্রীরা হরেকরকম রংবেরঙের খাতা,কলম কিনতে তার দোকানে ভিড় জমাতে শুরু করে।বর্তমানে মা,ছেলে একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে।একজন সিঙ্গেল মাদার হয়ে কঙ্কনা তার জীবন ভালোভাবেই কাটাচ্ছেন।

 

ভালোবেসে বিয়ে করলে নারীরা সবসময় ভুল সিদ্ধান্ত নেয় তা কিন্ত নয়।সিদ্ধান্ত যেমনই হোক উপসংহারই কিন্ত জীবনের আসল অর্থ বহন করে।নারীরা জলের মতো হয় তাদের যে পাত্রে রাখবেন সেই পাত্রেরই তারা রূপ নেবে।যেমন কঙ্কনা নিজের জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন।নারীদের এই মানানসই গুণটিই তাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে।'নারীশক্তি'র এই জয় যাত্রাই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।কারণ নারীরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে যত সতর্ক হবেন তত সমাজের উত্থান হবে।

 

 

 

We are Tv19 network (Tv19 Bangla, Tv19 Bharat, Tv19 India) your trusted source for in-depth, accurate, and timely digital news coverage, delivering breaking stories, insightful analysis, and engaging multimedia content across directly to your fingertips.

Our Contact

Email : info@tv19media.com
For advertisement : Call +91 8100688819
For Internship & news : Call +91 8100360951

© Tv19 Bengali . All Rights Reserved. : Total Visit :

Web Analytics