তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যর স্বামীকে কুপিয়ে খুন
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া - তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। মৃতের নাম সমীরণ পণ্ডিত। অভিযোগের তীর সমীরনের খুড়ততো ভাই ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। দাদার জন্যে আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে সেই রাগ থেকে এই খুন বলে খবর। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়।
সূত্রের খবর, উলুবেড়িয়া থানার তপনা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বেশ্বরপুর গ্রামের তৃণমূল কর্মী সমীরণ পণ্ডিত। তাঁর স্ত্রী রানুবালা পণ্ডিত তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যা। শুক্রবার বাগান্ডায় সমীরণের তিন বছরের নাতির জন্মদিন ছিল। বিকেলে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর উপর আক্রমণ চালান বিকাশ ও তাঁর দলবল। বাড়ি থেকে ৫০ মিটার দূরে সমীরণকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারেন তাঁরা। সমীরণের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে বিকাশ ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা সেখান থেকে পালান। এর পর স্থানীয়েরাই সমীরণকে প্রথমে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। সেখান থেকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই সমীরণের মৃত্যু হয়।
সম্প্রতি আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বিকাশের নাম ছিল না। বিকাশের সন্দেহ ছিল, তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যা রানুবালা পণ্ডিতের স্বামী সমীরণই আবাসের তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দিয়েছেন। সেই সন্দেহে বিকাশই সমীরণকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় যুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত বিকাশ এখনও পলাতক।
এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছে সমীরনের স্ত্রী। তিনি বলেন, “আবাস যোজনার ঘরের নাম বেরিয়েছিল। বিকাশের নাম বাদ যেতেই ও দাদাকে সন্দেহ করতে থাকে। তারপরই এই মার্ডার। আমার স্বামী কোনও মিছিলে যেত না, পার্টিতে যেত না। তাও ওকে চলে যেতে হল। যাঁরা এই কাজ করেছে আমি ওদের ফাঁসি চাই।”