ইউনুসের বিরুদ্ধে একত্রিত পৃথিবীর সব দেশের ইসকন
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরেই বাংলাদেশ জুড়ে চলছে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। আর এই অশান্তির নেতৃত্ব দিচ্ছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনুস। এর বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে সারা বিশ্বের ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
ইসকনের প্রভাব বিশ্বজুড়ে। ১৫০ বেশি দেশে লক্ষ লক্ষ ইসকন ভক্ত যোগ দিতে চলেছেন এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে। সকল ভক্তদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ইসকন কতৃপক্ষের তরফ থেকেই। রবিবার সকাল থেকেই ইসকন মন্দিরের সামনে হরিনাম সংকীর্তনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ইসকনের ভক্তরা। ‘হরে কৃষ্ণ’ ধ্বনিতে মুখরিত ইসকন মন্দির চত্বর। কলকাতাতেও একই দৃশ্য। বিকেল ৪টে থেকে অ্যালবার্ট রোড মিন্টু পার্কে ইসকন মন্দিরের সামনে, কীর্তন এবং প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস এই বিষয়ে বলেন, “১৫০ দেশে ৮৫০টিরও বেশি মন্দির আছে ইসকনের। হাজার হাজার সেন্টার আছে, সেখানে কোটি কোটি ভক্ত আছেন। আমরা সকলে মিলে প্রার্থনা করব যাতে বাংলাদেশে হিন্দুরা এবং সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত ও নিরাপদে থাকতে পারেন।”
প্রতিবাদের চিত্র উঠে এসেছে নদীয়ায়। বাংলাদেশের হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনে অন্যতম মুখ সম্মিলিত সনাতনী জাগরন জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নদীয়ার মায়াপুর ইসকন মন্দিরের সামনে আয়োজন করা হয় বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভ সভা ও পথ অবরোধ। রবিবার আনুমানিক বিকেল চারটে নাগাদ মায়াপুর হুলোর ঘাট থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে মায়াপুর ইসকন মন্দিরের প্রধান দ্বারের সামনে এসে পথ অবরোধ করেন বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্য ও অন্যান্য সাধু সন্ন্যাসীরা। এরপর ওখানে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন তারা। স্বাভাবিকভাবেই এই বিক্ষোভ মিছিলের কারণে সাময়িকভাবে যানজট তৈরি হয়। যদিও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে আনুমানিক বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।