News details

image

Rabi Mondal / 02 December, 2024

গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা - গৃহবধূকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারপর তাঁর দেহ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তাঁরা। এমনই ঘটনার অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার লতাসি গ্রামে। মৃত গৃহবধূর নাম খালিদা খাতুন ।

সূত্রের খবর, আট বছর আগে আব্দুল লতিফের মেয়ে খালিদার সঙ্গে সেই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। রবিবার খালিদার বাড়ির লোক তার অসুস্থতার খবর পান প্রতিবেশীদের মুখ থেকে। সেই সঙ্গে মশালদহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও খবর পান। তারপর তারা সেখানে গিয়ে জানতে পারেন যে তাদের মেয়ে মশালদা এলাকার একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রয়েছে। এরপরই তাঁরা সেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পৌঁছন। কিন্তু সেখানে মৃতার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা কেউ উপস্থিত ছিল না। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই গৃহবধূকে এখানে ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। এরপরই তড়িঘড়ি তাঁকে মশালদহ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে উপস্থিত চিকিৎসক খালিদা খাতুনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এরপর হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খালিদার স্বামী মোহাম্মদ আলী ও তাঁর পরিবারের আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন খালিদার পরিবার। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়েছে বলে মনে করেছে পুলিশ। তবে কিভাবে কি হল সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে পলাতক মোহাম্মদ আলী ও তাঁর পরিবারকেও খুঁজছে পুলিশ। 

খালিদার বাবা আব্দুল লতিফ বলেন "আট বছর আগে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের পর থেকেই অশান্তি। দুটো ছেলে মেয়ে ছিল। মাঝে মাঝেই আমরা গিয়ে ও শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে বসে মীমাংসা করে আসতাম। কিন্তু এইভাবে শেষ পরিণতি ভাবে ভাবতে পারছি না।"