অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘার জগন্নাথ ধামের উদ্বোধন, ভক্তিময় পরিবেশে দারউদ্ঘাটন
নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর -অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য লগ্নে আজ উদ্বোধন হল দিঘার জগন্নাথ ধামের। বেদ-পুরাণ অনুসারে সমস্ত আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন হল দেবতার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ও মন্দিরের দারউদ্ঘাটন। নতুন করে পর্যটন মানচিত্রে যুক্ত হল এক বিশেষ তীর্থস্থান।
সূত্রের খবর, অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অক্ষয় তৃতীয়ার শুভলগ্নে উদ্বোধন হল দিঘার জগন্নাথ ধাম। প্রথমে দেবতার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় তারপর মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দারউদ্ঘাটন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিক সহ বিশিষ্ট অতিথি বর্গেরা। চলচ্চিত্র জগৎ থেকে শুরু করে সঙ্গীত জগতের বিশিষ্ট মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন। মন্দিরের রীতিনীতি ও পুরোহচারের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে ইসকনের হাতে।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও প্রবেশের চারটি পথ রয়েছে। এছাড়াও, প্রতিদিন ধ্বজা বদলানোর জন্য পুরী থেকে প্রশিক্ষিত সেবায়েতদের নিয়ে আসা হয়েছে। মন্দিরের শীর্ষে অষ্টধাতুর নীলচক্র রাখা হয়েছে। মন্দিরের গর্ভগৃহে রত্ন বেদীর ওপর জগন্নাথ বলভদ্র ও সুভদ্রার পাথরের বিগ্রহের পাশাপশি নিমকাঠের মূর্তিও রয়েছে।
উদ্বোধনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, " সমস্ত সম্প্রদায় মানুষ আজ এখানে উপস্থিত আছে। স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা না পেলে এই কাজ সম্ভব হত না। প্রায় তিন বছর ধরে যারা এই কাজটি করেছে সে সমস্ত শ্রমিক, ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেকদের আমার অন্তর থেকে অনেক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই। অতিথিদের দর্শন করার পরই সাধারণ মানুষের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হবে।"
মাননীয় আরও বলেন, " মন্দির চত্বরকে কেন্দ্র করে ৫০০রো বেশি গাছ লাগানো হয়েছে। আশা করি এই মন্দির হাজার হাজার বছর ধরে উৎসব শুধু না এক তীর্থস্থান হিসেবে সমুদ্রতটনী তে এক ধর্মীয় তরঙ্গের প্লাবন তৈরি করবে। আগামী দিনে এই মন্দিরের ছবি ও সামান্য কিছু প্রসাদ সমগ্র রাজ্যের সবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।"