আমেরিকার হামলার পাল্টা জবাব, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণে কেঁপে উঠল ইজরায়েল
নিজস্ব প্রতিনিধি, ইরান - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার স্ট্রাইকের পর অবশেষে পাল্টা প্রত্যাঘাত করল ইরান। ইজরায়েলের দুই শহর হাফিয়া ও তেল আভিভে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তেহেরান। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তুঙ্গে।
সূত্রের খবর, আমেরিকা রবিবার ভোরে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র—ফোরডো, নাতানজ ও ইসফাহানে বিমান হামলা চালায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অভিযানে সামরিক সাফল্যের দাবি করলেও, এর ফলে ইরান ও ইজরায়েলের সংঘাত তীব্র আকার নেয়। ইরান এর পাল্টা জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়। আর সেই মতন ইসরায়েলে একসঙ্গে ২৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো ইরান।
ইজরায়েলের হাফিয়া ও তেল আভিভ শহরের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র দাগলো ইরান। যার জেরে প্রায় ১১ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী। তেহরানের পক্ষ থেকে আমেরিকাকে উদ্দেশ্যে করে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, "আপনারা শুরু করেছেন, শেষটা আমাদের হাতে।" সঙ্গে বাহরাইনে থাকা আমেরিকার নৌঘাঁটি ও সেনাবাহিনীই এবার তাদের পরবর্তী লক্ষ্য সেই ইঙ্গিতও স্পষ্ট করা হয়।
ইরানের সরকারি সংবাদ মাধ্যমগুলির দাবি, আমেরিকার এই একতরফা পদক্ষেপ ন্যাক্কারজনক, এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সামিল। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, হরমুজ প্রণালীতে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহে ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে।
ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি জড়িত হয়ে পড়া এই অঞ্চলকে বড় যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই উত্তেজনার ফলে তেলের দাম, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক ভারসাম্য সবকিছুই বড় প্রভাবের মুখে পড়েছে।