'কল্যাণদা বলেছিলেন তুই শোভনকে ডিভোর্স দিবি না', বিস্ফোরক দাবি রত্নার
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলেছে রত্না চট্টোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। শোভন-বৈশাখীর হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী তথা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কোর্টে রত্নাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন কল্যাণ। তখনই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করেন রত্না মুখোপাধ্যায়।
সোমবার কোর্টে রত্না দাবি করেন, "এই কল্যাণবাবু একদিন কোর্টে দাঁড়িয়ে আমাকে বলেছিলেন দুলালদার দুঃখ আমি বুঝি। তুই শোভনকে ডিভোর্স দিবি না। কারণ বৈশাখী অত্যন্ত বাজে মেয়ে। অনেকের ঘর ভেঙেছে। আমি দুলালদার কষ্ট বুঝি। আমার মেয়েরও তো ডিভোর্স কেস চলছে। তাই আমি জানি দুলাল দাসের কতটা কষ্ট। হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে এই কথা বলেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।"
শোভনপত্নী আরও বলেন, "কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি দলীয় নেতৃত্ব হিসেবে দেখছি না। উনি শোভন বাবুর থেকে টাকা নিয়ে ওকালতি করছেন। তবে উনি যে কথা বলেছেন, আমি ড্রামাবাজ? এটা কেউ বলতে পারবে না। লোকেও বিশ্বাস করবে না। কল্যাণবাবুর হঠাৎ আমাকে ‘ড্রামাবাজ’ মনে হল কেন আমি জানি না।"
রত্না বলেন, "শুধু টাকা নিলেই বিরোধী পক্ষের হয়ে মিথ্যে কথা বলব এটা ঠিক না। আমার সঙ্গে ভগবান আছে। বাকি কাউকে দরকার নেই। ভগবান চাননি আমার ডিভোর্স হোক। আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মুখ খোলেননি। আট বছর আমার পাশে আছেন। কল্যাণবাবুর উচিত সত্যি কথা বলা। মিথ্যে কথা না বললেই ভাল।"
এরপরেই তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন তৃণমূলের আইনজীবী-সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপক্ষের মক্কেল হয়ে আইনজীবীকে 'কুরুচিকর' আক্রমণ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন কল্যাণ। সোমবার বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কল্যাণ বলেন, "একাধিক সংবাদমাধ্যমে আমাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মেয়েকেও ছেড়ে কথা বলা হচ্ছে না। এটা কী ধরনের আচরণ? আদালতকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা যায়? একজন বিরোধীপক্ষের আইনজীবীকে নিয়ে যা খুশি বলা, এটা কেমন কথা?"