কেনেডি হত্যাকাণ্ডের ফাইল প্রকাশ, চর্চায় সিআইএ ঘনিষ্ঠ গ্যারির মৃত্যু রহস্য
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন - মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জন কেনেডির হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১,১২৩ পাতার নথি প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরপর থেকেই চর্চায় উঠে এসেছে সিআইএ ঘনিষ্ঠ গ্যারি আন্ডারহিলের রহস্য মৃত্যু।
আগেই ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছিল, ১৯৬৩ সালের প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন কেনেডির হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত গোপন নথি তাঁর সরকার সামনে আনবে। কথা রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার ১,১২৩ পাতার নথি প্রকাশ করেছে আমেরিকা।
অনেকের দাবি, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র ঘনিষ্ঠ ছিলেন গ্যারি। আবার অনেকের দাবি, গ্যারি সিআইএ এজেন্ট ছিলেন। তবে তথ্য অনুযায়ী, গ্যারি অভিযোগ তুলে ছিলেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জন কেনেডির মৃত্যুর নেপথ্যে এজেন্সি রয়েছে।
এফবিআইয়ের প্রকাশিত মেমোর রিপোর্টে বলা হয়েছে, "হত্যাকাণ্ডের পরদিন গ্যারি আন্ডারহিল তরিঘড়ি ওয়াশিংটন ছেড়ে চলে যান। সেদিন সন্ধ্যার দিকে তাঁকে নিউ জার্সিতে এক বন্ধুর বাড়িতে দেখা গিয়েছিল। তিনি খুবই উত্তেজিত ছিলেন। তাঁর বন্ধু শার্লিন ফিটসিমনসকে, আন্ডারহিল জানিয়েছিলেন যে সিআইএ-র একাংশের দ্বারা জে এফ কেনেডির হত্যা হয়।"
রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, "তিনি গোপনে জানান যে সিআইএ-র একটি ছোট চক্র এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ছিল। তিনি তাঁর জীবন নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন এবং সম্ভবত দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে এমন ভয় পাচ্ছিলেন।"
আবার এদিকে সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, "৬ মাসের কম সময়ের মধ্যে আন্ডারহিলকে তার ওয়াশিংটন অ্যাপার্টমেন্টে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। করোনার এটিকে আত্মহত্যা বলে রায় দেন।" তাঁর মৃত্যুর আগে আন্ডারহিল দাবি, কেনেডি হত্যা নিয়ে লি হার্ভি ওসওয়ার্ল্ডকে সাজানো হয়েছে। ওসওয়ার্ল্ডকে ‘সেট আপ’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল আন্ডালহিলের।