সিউড়িতে কেষ্ট-কাজল অনুগামীদের সংঘর্ষ, আহত তৃণমূল কর্মী
নিজস্ব প্রতিনিধি, বীরভূম - ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। সিউড়ির দেশালপুর গ্রামে ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখ অনুগামীদের মধ্যে রীতিমতো হাতাহাতি। সংঘর্ষে গুরুতর জখম এক তৃণমূল কর্মী।
সূত্রের খবর, বীরভূম জেলার দেশালপুর গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ। ইদের আগে কাজল শেখের অনুগামীরা গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি ব্যানার লাগায়, যাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক ব্যানার্জী ও কাজল শেখের ছবি ও নাম ছিল। গতকাল রাতে সেই ব্যানার ছেঁড়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এরপরই কাজল গোষ্ঠীর তরফে ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ উঠে অনুব্রত অনুগামীর বিরুদ্ধে।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ক্ষণিকের মধ্যে তা হাতাহাতির পর্যায় পৌঁছায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গতকাল রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আজ সকালে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, কাজল শেখের এক অনুগামী দিলখুস আলম যখন কাজে যাচ্ছিলেন, তখন অনুব্রত গোষ্ঠীর কয়েকজন তাঁর উপর চড়াও হয় ও মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় দিলখুস আলমকে ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে।
ঘটনা প্রসঙ্গ আহত তৃণমূল কর্মী দিলখুশ আলম বলেন, " গতকাল রাতে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো পোস্টের কিছু ছিঁড়ে দেয়। সেই নিয়ে ঝামেলা হলে পুলিশ এসে ঝামেলা থামিয়ে দেয়। কিন্তু আজ সকালে কাজে যাওয়ার সময় বকুলের ছেলেরা এসে আমার গাড়ি থামিয়ে আমাকে লাথি ও ঘুষি মারে। বকুলের লোকেরা দালালী করে। আমরা মুখ্যমন্ত্রী আর অভিষেক ব্যানার্জীকে অনুসরণ করেই দল করি।"
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা এহেসানুল হক বলেন, " এই বিষয়ে আমার এখনো কিছু জানা নেই। যে গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা সংখ্যালঘুদের গ্রাম সেখানে বিজেপির কোন অংশ নেই। যাদের নেতা যেমন শেখায় তেমনই করছে। কোনো ব্যানার ছেড়া হয়নি। দলের অনুগামী হয় কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির অনুগামী নেই এখানে। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যানার কেন ছেড়া হবে। মিথ্যা খবর ছড়ানো হচ্ছে।"
এই প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সহ - সভাপতি দীপক দাস বলেন, " পোস্টটা নিয়ে যে ঝামেলা সেটা কিছুই না সম্পূর্ণ মেয়েদের মধ্যে ঝামেলা। এরা মারামারি করেই শেষ হবে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এদের বহু পুরনো উপর মহল থেকেই হয়ে আসছে। আর কয়েকদিন করুক। তারপর বাংলা আবার শান্ত হবে।"