দেউচা-পাচামি প্রকল্পে ‘ধীরগতি’! প্রশাসনিক বৈঠকের পরেই বিক্ষোভ জমিদাতাদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, বীরভূম - মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরই নড়েচড়ে বসল রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তারা। শুক্রবার দুপুরে মহম্মদবাজারে পৌঁছন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সেখান থেকে মহম্মদবাজার বিডিও অফিসে পৌঁছে বীরভূমের জেলাশাসক, জেলা সভাপতি ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যসচিব এবং ডিজি। তবে বৈঠকের পরেও ক্ষুব্ধ জমিদাতারা। কাজ ধীর গতিতে হচ্ছে জানিয়ে বৈঠকের পর মহম্মদবাজারের সোশ্যাল মোড়ে বিক্ষোভ করেন জমিদাতারা।  

    সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে দেউচা পাঁচামি প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই শুক্রবার বীরভূমে পৌঁছলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। এ দিন মহম্মদ বাজারের পঞ্চায়েত দপ্তরের অফিসে দেউচা পাঁচামি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, জেলাশাসক বিধান রায়, এডিজি অশোক প্রসাদ, ডিআইজি শ্যাম সিংহ, জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। তবে এই প্রশাসনিক বৈঠক শেষে ফেরার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এদিন দেউচা-পাচামি খোলামুখ কয়লা খনি প্রকল্পের কাজের ধীরগতি হচ্ছে, পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন জমিদাতারা। বিক্ষোভের জেরে যানজট সৃষ্টি হয় মহম্মদবাজারের সোশ্যাল মোড়ে। 

   এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে জমিদাতারা জানান, "আমরা প্রকল্পের জন্য জমি দিয়েও চাকরি পাইনি। আবার আমাদের অনেকের জমি দিতে চাইলেও সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। আর আজকের বৈঠকে এমন অনেককে ডাকা হয়েছে যাদের জমি নেই, অথচ আমরা যারা প্রকৃত জমিদাতা আছি তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।"