নক্ষত্রপতন সংগীত জগতে, প্রয়াত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - শোকের ছায়া সঙ্গীত জগতে। ৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন গায়ক। সোমবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় আইটিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। শনিবার সকালে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।
প্রয়াত 'আমি বাংলায় গান গাই' খ্যাত গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায়। বহুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন জনপ্রিয় এই গায়ক। কয়েক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শনিবার সকালে মৃত্যু হয় বর্ষীয়ান শিল্পীর। জানা যাচ্ছে অন্ত্রের অস্ত্রোপচারের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি গত সোমবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় আইটিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল তাঁকে। অবশেষে শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
বাংলার সঙ্গীত জগতের অন্যতম উজ্জ্বল তারকা শিল্পী ছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। অবিভক্ত পূর্ববঙ্গে জন্ম, পরবর্তীতে এপার বাংলায় চলে আসেন। কিন্তু বাঙালিয়ানা আদ্যোপান্ত জড়িয়েছিল তাঁর সঙ্গে। তাঁর কণ্ঠে 'আমি বাংলায় গান গাই' আজও বাংলি মনে রেখেছে। এছাড়া তাঁর অন্যান্য অ্যালবামগুলি হল ‘চক্র চাঁদ জোওয়ান চাঁদ বর্ণনা সহ’, ‘লাল কমলা হলদে সবুজ’, ‘দারুন গভীর থেকে’, ‘বর্ণনার সাথে গিয়েছিলাম লোহার ঘৃণা’, ‘কি আমদের জাত’, ‘ভালোবাসার মানুষ’, ‘কাঁচের বাসনের ঘ্যান ঘ্যান শব্দে’, ‘মা সেলাই করে’, ‘সেয়ে ছোটো দুতি পা’, ‘আমার ধান কাটার গান গাই’, ‘নাকোসি স্কেলে আফ্রিকা’, ‘তুমি ছেঁড়া মাটির বুকে আছিস’, ‘কুট্টুস কোট্টাস’, ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’, ‘তোমাকে দেখছিলাম’, ‘স্বপনপুরে ’।