দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মহেশতলা, জারি ১৪৪ ধারা
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা - দু’পক্ষের মধ্যে ছোট দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বচসা মুহূর্তেই পরিণত হল ভয়াবহ সংঘর্ষে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মহেশতলা এলাকা। গুরুতর আহত এক মহিলা পুলিশকর্মী সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।
সূত্রের খবর, একটি দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। শুরু হয় ব্যাপক ইটবৃষ্টি, দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হন একাধিক পুলিশকর্মী। রবীন্দ্রনগর থানার সামনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের বাইক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও জটিলতা আরও বাড়তে থাকে। হামলাকারীরা সিসিটিভি ক্যামেরাও ভেঙে দেয়, যাতে তাদের শনাক্ত না করা যায়।
পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করে। তবুও উত্তেজনার পারদ কমেনি। একজন মহিলা কনস্টেবলের মাথায় ইটের আঘাত লাগে। এছাড়াও, একাধিক পুলিশ কর্মী আহত হন। ওষুধের দোকানেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সেলুন থেকে টাকা লুটের ঘটনাও ঘটে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষমেশ প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়—চারজনের বেশি জমায়েত করা যাবে না, করলে নেওয়া হবে কড়া আইনি ব্যবস্থা।
ঘটনা প্রসঙ্গ পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, " প্রবল ইট ছোড়াছুড়ি করা হয়। জীবন মরণ লড়াই হয়েছে। প্রচুর লোক ছিল ওদের। স্থানীয় পুলিশরা পরিস্থিতি সামাল দিতে দেরি করে ফেলেছে, যার জন্য আরও বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি।"
যদিও এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন, " বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এরম ঘটনা ঘটছে। সমজাবিরোধীরা এসে পরিস্থিতি অশান্ত করেছে। সেই মুহূর্তে পুলিশ বেশি না থাকায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি।"