মহেশতলায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের রণক্ষেত্র, গ্রেফতার ৪১ জন
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা - দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হল মহেশতলা। ঘটনায় পুলিশি অভিযান চালিয়ে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৪১ জন।
সূত্রের খবর, মহেশতলার রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার কাছে, যেখানে একটি দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয় উত্তেজনা। দু'পক্ষের মধ্যে বচসা, এরপরই শুরু হয় ইটবৃষ্টি এবং গাড়ি ভাঙচুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। কিন্তু উত্তেজিত জনতার আক্রমণে রক্তাক্ত হন ডিসি সাহ আরও ১৩ জন পুলিশকর্মী।
এই ঘটনার জেরে পুলিশি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ৪১ জনকে। ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ ও ২৮ জনকে জেলা পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ৭ টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সকালে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও এলাকাজুড়ে থমথমে পরিবেশ। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী।
বৃহস্পতিবার সকালে ডায়মন্ড হারবার পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিষয় নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। যেই বৈঠকে ডায়মন্ড হারবার থানার এসপি রাহুল গোস্বামী বলেন, " বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে পিকেটিং চালানো হচ্ছে, উচ্চ পদস্থ পুলিশ অফিসাররাও সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।"
পুলিশ সুপার আরও বলেন, " থানার কাছে একজনের জায়গা ছিল সেখানে সে বহুদিন ধরে কাজ চালাচ্ছিল। কিন্তু কিছু ধর্মান্ধ ব্যক্তির কার্যকলাপের জন্য এই সংঘর্ষ শুরু হয়। তাদের বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো ধর্মীয় সংস্থা বা রাজনৈতিক নেতা তাদের পক্ষপাতিত্ব করতে আসলে আমরা শুনবো না। এই ঘটনার পিছনে কিছু ধর্মান্ধ ব্যক্তি ও রাজনৈতিক সংযোগ থাকার প্রভূত সম্ভাবনা আছে।"
সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, " কোনরকম কোন ধর্মান্ধ ব্যক্তিকে বিশ্বাস করবেন না। তাদের ফাঁদে পড়ার চেষ্টাও করবেন না। পুলিশ সর্বদা আপনাদের স্বার্থে আছে। আপনাদের কোনো অভিযোগ থাকলে পুলিশকে জানান।"