মালদহে শিশু সুরক্ষা কমিশন, পকসো কেস নিয়ে গাজোল থানায় আলোচনা
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ - গাজোলে শিশু সুরক্ষা ও পকসো মামলাগুলির পর্যালোচনায় এলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল। রবিবার সন্ধ্যায় গাজোল থানায় পৌঁছে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। একইসঙ্গে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বোমা বিস্ফোরণে আহত শিশুদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর মানবিক বার্তাও দিলেন প্রতিনিধি সদস্যরা।
সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় শিশু সুরক্ষা কমিশন মালদহে পৌঁছে প্রথমে গাজোল থানার আইসি আশীষ কুন্ডুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর থানায় চলমান পকসো মামলাগুলির বিষয়ে খোঁজখবর নেন। শিশুদের সুরক্ষা কীভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে, তদন্ত ও সহায়তা কীভাবে চলছে সেসব দিকেই মূলত গুরুত্ব দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা যান মালদার কালিয়াচক, যেখানে সম্প্রতি দুটি শিশু খেলার সময় ভুল করে বল ভেবে বোমা হাতে নিয়ে গুরুতর জখম হয়। প্রতিনিধি দল প্রথমে ওই শিশুটির বাড়িতে যান এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর শিশুটিকেও দেখতে পৌঁছান। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন ও মানসিক সাপোর্ট দেওয়ার বার্তা দেন। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন অনন্যা চক্রবর্তী, তুলিকা দাস সহ আরও একজন সদস্য।
এই প্রসঙ্গে শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস বলেন, " আমাদের রুটিন ভিজিটের মধ্যেই ছিল। এখানের যে হাসপাতাল ও থানা দেখা সেগুলো করা হলো। এছাড়াও, সম্প্রতি কালিয়াচকে যে ঘটনাটি ঘটে বাচ্চারা খেলতে গিয়ে বোমার বিস্ফোরণে আহত হয়, সেই বাচ্চা ও তাদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করা হয়। অপর যে বাচ্চাটি হাসপাতালে ভর্তি ছিল সেখানে তাকে দেখতে যাওয়া যায় বর্তমানে সে এখন অনেকটাই ভালো আছে। মালদহ জেলায় যেই শিশু প্রকল্প গুলো আছে সেগুলো জেলা স্তর থেকে এই শিশুদের পরিবারের কাছে কিভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই বিষয় গুলি আলোচনা করা হয়।"
তিনি আরও বলেন, "গাজোল থানায় এসে এখানে শিশুদের যে ধরনের কেস গুলো আসে সেই নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও, আগামীকালও কিছু কর্মসূচি আছে যেখানে এই জেলায় যারা শিশুদের নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে শিশুদের অধিকার ও পকসো আইনের বিষয় নিয়ে।"