বাংলাদেশীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - বিধানসভা থেকে শীতকালীন অধিবেশন শেষ করে কলকাতা ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দমদম বিমানবন্দরের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বাংলাদেশ তো একটা অন্য দেশ ,ভারতবর্ষ একটা অন্য দেশ একটা দেশ আরেকটা দেশে। আমি খুব দুঃখিত ওখানে আজও অনেক মানুষ মারা গেছেন। এখনো অত্যাচারিত হচ্ছে, আগেও আন্দোলনের ছাত্রছাত্রী মারা গেছে আজও প্রায় দেশ জ্বলছে, আমরা তো কেউ ঘটনাটাকে সমর্থন করছি না কোন ঘটনায় কোন যে ধর্মের উপরই হোক না কেন আমরা সেটাকে সমর্থন করি না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা খুবই নগণ্য। যেহেতু আমরা আলাদা দেশ বাংলাদেশ আলাদা দেশ এটা ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের সাথে কথা বলতে পারে। অ্যাকশান নিতে পারে।"
সেই সঙ্গে কেন্দ্রকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন," আমরা এটুকু বলতে পারি যে আমরা এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স পলিসির ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের স্ট্যান্ড হচ্ছে যে যখনই ক্ষমতায় থাকুক না কেন আমরা সরকারের স্ট্যান্ডটা কে সাপোর্ট করি। কাজেই আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার কোন ধর্মের উপরে ,কোন বর্ণের ওপরে কোন জাতির উপরে কোন অত্যাচারই আমরা মানি না না হিন্দু না মুসলমান না, না শিখ, না খ্রীষ্টান আমরা সবাই এক। সুতরাং আমার কথাতেই বুঝতে পারলেন যেসব ঘটনা আজ নয় এক বছর ধরে হচ্ছে আমরা একটা ঘটনার জন্যই দুঃখিত দুঃখিত হলেও যেহেতু আমরা অন্য দেশের নাগরিক যেহেতু আমাদের রাজ্য সরকার আছে এবং কেন্দ্রীয় সরকার আছে সুতরাং ভারত সরকারের ম্যাটার বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলতে পারে সেটেল করতে পারে এক্ষেত্রে আমাদের তো কোনভাবে যুক্ত করা হয় না, এবং আমরা জানিনা, তিস্তার ব্যাপারে চুক্তি হয়ে গেছিল আপনারা জানেন আমাদের জানানো হয়নি আমাদের দিক থেকে আমরা বাংলাদেশকে ভালবাসি। "
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান," বাংলাদেশ নিশ্চয়ই আমাদের ভারতকে ভালবাসে বাংলা কেউ ভালোবাসে আমাদের ভাষা সাহিত্য পোশাক পরিচ্ছদ সব এক রাজনৈতিকভাবে যাই মতভেদ থাকুক না কেন ? আমরা চাইনা কোন ধর্মে ধর্মে বিভেদ হোক এবং তার কোন রেশ কারোর ওপর পড়ুক এটা আমরা কখনোই চাই না। এবং কেন্দ্রীয় সরকারের যারা আছেন তারাও তো পার্টিকুলার একটা ধর্মের বিরুদ্ধে ভিনডিক্টিভ অ্যাটিচিউড নেন। আমরা মনে করি কোনটাই ঠিক নয়, মন্দিরও থাকবে, মসজিদও থাকবে,গুরুদুয়ারা থাকবে, গির্জাও থাকবে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা শান্তির পক্ষে, আমরা উন্নয়নের পক্ষে ধর্মীয় মতামত প্রত্যকে যেন পালন করতে পারে তার স্বাধীনতা অনুযায়ী আমরা এটার পক্ষে । পার্লামেন্টে যা স্ট্যান্ড নেওয়ার যেটা আমাদের ইন্ডিভিজুয়াল কারুর ম্যাটার নয়। এটা স্ট্যান্ড নেবে তৃণমূল কংগ্রেসের এর পার্লামেন্টের পার্টি রাজ্যসভা এবং লোকসভার চেয়ারম্যান আমি, লোকসভায় আমাদের লিডার আছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় , চিফ হুইপ আছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং রাজ্য সভায় আমাদের লিডার আছে ডেরেক ও ব্রায়েন ডেপুটি লিডার আছে সাগরিকা চিফ হুইপ আছে সম্ভবত রাজেন তারা আমাকে জিজ্ঞেস করলে তাদেরকে ওপেনিয়ন আমি দেব।"