বিকাশ ভবনে বৈঠক, ব্রাত্যর সঙ্গে আলোচনায় ১২ জন প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - শুক্রবার দুপুরেই বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন চাকরিহারারা। বৈঠকে আছেন এসএসসির চেয়ারম্যান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, রাজ্যের আইন শাখার আধিকারিকেরা। চাকরিহারাদের তরফে সাত জন প্রতিনিধির বৈঠকে থাকার কথা থাকলেও দাবি মেনে বিকাশ ভবনের ভিতরে প্রবেশে করেন ১২ জন। অপরদিকে এদিনও চাকরিহারাদের আন্দোলনকে সংহতি জানাতে এসএসসি দফতরের সামনে পৌঁছন আরজি কর আন্দোলনের চিকিৎসকেরাও। গিয়েছেন চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ।
সূত্রের খবর, বিকাশ ভবনের বৈঠকে চাকরিহারাদের আট জন প্রতিনিধি যেতে পারেন বলে রাজ্যের তরফে জানানো হয়। কিন্তু চাকরিহারাদের তরফে প্রাথমিক ভাবে ১২ জনের নাম পাঠানো হয়। ১২ জনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন হুমায়ুন ফিরোজ মণ্ডল, সঙ্গীতা সাহা, আবদুল্লা মণ্ডল, চিন্ময় মণ্ডল, সুজয় সরদার, প্রলয় কুমার জামাদার, আজহারউদ্দীন, সেলিনা আখতার, স্বপন বিশ্বাস, মেহবুব মণ্ডল, দিথিশ মণ্ডল, মৃণ্ময় মণ্ডল এবং তাপস সাঁতরা। এঁদের মধ্যে নবম-দশমের ছজন, একাদশ-দ্বাদশের চার জন এবং গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি-র এক জন করে চাকরিহারা প্রতিনিধি রয়েছেন। কিন্তু প্রথমে আট জন ভিতরে প্রবেশের অনুমতি পান। এর পরেই বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থানে বসেন চাকরিহারাদের একাংশ। তাঁরা স্পষ্ট জানান ১২ জনকে ঢুকতে না দেওয়া হলে তাঁরা বৈঠকে যাবেন না। এরপরেই চাকরিহারাদের দাবি মেনে শেষমেশ ১২ জনকেই ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেয় বিকাশ ভবন।
প্রসঙ্গত, বৈঠক ছাড়াও এসএসসি ভবনের সামনে বসেই আন্দোলন করছেন চাকরিহারারা। তাঁরা জানান শান্তিপূর্ণ ভাবেই নিজেদের দাবিদাওয়া জানাতে এসেছেন। শুক্রবার চাকরিহারাদের মিছিল থেকে তাঁদের এক প্রতিনিধি চিন্ময় মণ্ডল জানান, মূলত তিনটি দাবি নিয়ে এসএসসির দফতরে এসেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘এসএসসির কাছে আমাদের দাবি, যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করতে হবে এবং সেই নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। ওএমআরের মিরর ইমেজ প্রকাশ্যে আনতে হবে। নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশও বাতিল করতে হবে। নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় আমরা যেতে চাই না।’’