মেহুল চোকসির ফ্ল্যাটের দেখভাল বাবদ বকেয়া ৬৩ লক্ষ টাকা!
নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই – দীর্ঘদিন ধরে তদন্তকারীদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে শনিবার বেলজিয়ামে গ্রেফতার করা হয় পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে। এখন তাঁর ঠিকানা জেল। শীঘ্রই ভারতে প্রত্যর্পণ করা হতে পারে অভিযুক্তকে। এই আবহে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ে তাঁর ফ্ল্যাটের দেখভালের জন্য বকেয়া রয়ে ছে ৬৩ লক্ষ টাকা।
সূত্রের খবর, মুম্বইয়ের মালাবার হিল এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের নবম, দশম এবং একাদশ তলা মিলিয়ে তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে চোকসির। ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ৬৩ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে তাঁর। এদিকে ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের দাবি, ২০২০ সালে ফ্ল্যাটগুলিতে কিছু কাজ হয়। তাতে ফ্ল্যাটপিছু প্রায় ৩০-৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। সেই টাকা যোগ করলে চোকসির তিনটি ফ্ল্যাট মিলিয়ে প্রায় ৯৫ লক্ষ টাকা খরচ পড়়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল, স্ত্রী প্রীতি চোকসিকে নিয়ে বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্পে বসবাস করছেন পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। এরপর থেকেই তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য তৎপর হয়ে ওঠে ভারত। অবশেষে শনিবার মেহুল চোকসিকে গ্রেফতার করে বেলজিয়ামের পুলিশ। শোনা যাচ্ছে, ৬৫ বছরের মেহুলের একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তার ভিত্তিতে জামিনের আবেদন করতে পারেন তিনি।
সূত্রের খবর, ২০১৮ এবং ২০২১ সালে মুম্বই আদালতের দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর ভিত্তি করেই তাঁকে গ্রেফতার করে বেলজিয়ামের পুলিশ।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ প্রতারণা করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান মেহুল চোকসি। এই প্রতারণায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাইপো নীরব মোদি। মুম্বইয়ের ব্রাডি হাউস ব্রাঞ্চ থেকে ভুয়ো লেটার অব আন্ডারটেকিং ও ফরেন লেটার অব ক্রেডিট দেখিয়ে ঋণ নিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর অ্যান্টিগা, বারবুডা, ডমিনিকায় পালিয়ে বেড়ান মেহুল চোকসি। অন্যদিকে লন্ডনে রয়েছেন নীরব।