আন্দোলনের নামে হিংসা ছড়ানো প্রতিবাদীরা মীরজাফর! তোপ ফিরহাদের
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা – ওয়াকফ সংশোধিত আইনের প্রতিবাদ নিয়ে পথে নেমেছে উন্মত্ত জনতা। তাঁদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে আন্দোলনের নামে হিংসা ছড়ানো প্রতিবাদীরা মীরজাফর। তোপ দাগলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে ফিরহাদ বলেন, “মীরজাফর তো সব জায়গাতেই থাকে। সেদিনও মীরজাফর ছিল, আজও আছে। যারা মীরজাফর, তারা এটা করে বিজেপির হাত শক্ত করার চেষ্টা করছে। যেহেতু এটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাটি, এখানে ধড়াম করে পুলিশ কারও উপর গুলি চালায় না। বুলডোজার রাজ হয় না। তাই এখানে লাফালাফি বেশি। বিজেপির উস্কানিতেই লাফালাফি। সত্যিকারের প্রতিবাদ করতে হলে যান, যেখানে বুলডোজার দিয়ে মুসলিম সম্পত্তি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, যোগীর রাজ্যে যান। সেখানে দেখি প্রতিবাদ কীভাবে হয়?”
উল্লেখ্য, শুক্রবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর শনিবার সকালে অবস্থা স্বাভাবিক হয়। এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএসএফ মোতায়েনই ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানায় পুলিশ। কিন্তু এদিন সকালে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। উত্তেজিত জনতা ধুলিয়ান পুরসভা এলাকায় ভাঙচুর শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের হামলা থেকে রক্ষা পায়নি আজিমগঞ্জের গেটম্যানের অফিস। সম্পূর্ণ অফিস একেবারে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত ওই লাইনে সিগন্যালিংয়ের কাজ চলত গেটম্যানের অফিস থেকে।পাওয়ার রুম সহ সমস্ত কিছু ভেঙে দেওয়াতে শনিবার সকাল থেকে কার্যত বিধ্বস্ত ট্রেন চলাচল। ভাঙচুর চালানো হয়েছে সামশেরগঞ্জের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি কাওসার আলির বাড়িতে।
যদিও শুক্রবার রাত থেকেই বিএসএফের নিরাপত্তায় গোটা মুর্শিদাবাদ। শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই চলছে বিএসএফের রুট মার্চ। একই সঙ্গে চলছে ধরপাকড়। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত ১১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এদিন সকালে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহম্মদ জামাল।