জ্বলছে নাগপুর, ঔরঙ্গজেবের সমর্থনকারীদের হুঁশিয়ারি শিণ্ডের
নিজস্ব প্রতিনিধি, নাগপুর - দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চেহারা নিয়েছে মহারাষ্ট্রের নাগপুর। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১৫ জন পুলিশ ও ৫ জন সাধারণ মানুষ। এই আবহে ঔরঙ্গজেবের সমর্থনকারীদের হুঁশিয়ারি দিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে।
এদিন শিণ্ডে বলেন, "ঔরঙ্গজেব মহারাষ্ট্র দখল করতে এসেছিলে। কিন্তু এখানে ওকে শিবাজির মতো বীরের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। যারা এখনও ঔরঙ্গজেবের প্রশংসা করছে, তারা দেশদ্রোহী ছাড়া আর কিছুই নয়।এই মহারাষ্ট্রে কেউ ঔরঙ্গজেবের সমর্থন করবে না।"
তিনি আরও বলেন, "ওই নিষ্ঠুর শাসক ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের শত্রু ছিল, দেশের শত্রু ছিল, দেশদ্রোহী ছিল। একজন হামলাকারী, মা-বোনেদের উপর অত্যাচার চালিয়েছিল ওই আততায়ী। মন্দির ভেঙেছিল, ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজকে নির্যাতন করেছিল এই ক্রুড় শাসক। ফলে যে বা যারা ওর গুণগান গাইবে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। ওই বিক্ষোভে পবিত্র ধর্মীয় মন্ত্র লেখা একটি কাপড় জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে অশান্তি ছড়ায় এলাকায়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় দু’টি জেসিবি সহ একের পর এক গাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে উন্মত্ত জনতার বিরুদ্ধে। ইট-পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন ১৫ জন পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে ২০ জনকে। চলছে টহলদারি ও ধরপাকড়। দেবেন্দ্র ফড়ণবীস জানান, “পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।“ নাগপুর পুলিশের তরফ থেকে অশান্তির কারণ হিসেবে গুজবকে দায়ি করা হয়েছে।