'কোনো গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না', শিল্প বৈঠক থেকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - এখনও একমাস হয়নি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের। এই আবহে রাজ্যের শিল্পায়নে গতি আনতে রাজ্যস্তরে গঠিত হল শিল্প সমন্বয় কমিটি ও তারই সঙ্গে উদ্বোধন হল নতুন পোর্টালেরও। পাশাপাশি শিল্পের অনুমোদন দিতে কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না জানিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

     সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, "আজ ফেসবুকে অনেক ভিডিয়ো দেখলাম॥ বেঙ্গল বিশেষ ভাবে টপ ইনভেস্টমেন্ট ডেস্টিনেশন। একটা বড় কারখানা হলে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। ছোট ছোট কারখানা হলে লক্ষাধিক কর্মসংস্থান হতে পারে। আমি মনে করি কোনওরকম সরকারি ভাবে দেরি করা যাবে না। সিরিয়াসলি সবটা ভাল করে দেখতে হবে। স্টাডি করতে হবে। সময়ের মধ্যে, গতি এনে কাজ করতে হবে দফতরগুলিকে। তারপর মুখ্যসচিব সেগুলি নিয়ে আমার কাছে আসবেন। এখন দিন পালটেছে। আজকের জনতা পাল্টেছে। জমি, ফায়ার পরিবেশ দফতরকে আমি বিশেষ নজর দিতে বলব। দফতরের সঙ্গে দফতরের সমন্বয় রাখতে হবে। সব দফতরের সচিবেরা এখানে আছেন। এক মাসের মধ্যে অনুমতি দিতে হবে সব ক্লিয়ারেন্স হয়ে গেলে। দেরি হলে কিন্তু পস্তাতে হবে। কোথাও কোনও বাধা থাকলে তা সমাধান করার কাজ আপনাদের। রিয়েল টাইম ট্র‍্যকিং সিস্টেম তৈরি হয়েছে । আমি সিএস কে বলব আমায় সঠিক সময়ে রিপোর্ট জমা দেবেন।বাংলার উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের দেখতে হবে। ট্রেড ইউনিয়নদের বলব কোনও পার্সোনাল সুবিধার জন্য কোনও শিল্পে বাধা দেবেন না।"

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, "ছটা বড় ইকোনমিক করিডর তৈরি হবে। জমি পড়ে আছে। দখল হয়ে যাচ্ছে । আগামী তিন দিনের মধ্যে আমাদের দেখাতে হবে। দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির দায়িত্ব কোনও জমি ব্যবহার হচ্ছে না, দখল হয়ে যাচ্ছে । যেগুলো পড়ে আছে আমাদের নজরে আছে। সাত দিনের মধ্যে পাঠাতে হবে। নাহলে ওই দফতরে থাকার কোনও অধিকার নেই। জমি সেটেলমেন্টের জন্য অ্যাকশন নিতে হবে। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সের জমির বিষয়টি পনেরো দিনের মধ্যে করতে হবে।"