সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ বিল মামলা নিয়ে মৌখিক আবেদন, পাত্তাই দিলেন না প্রধান বিচারপতি!
নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি – গত সপ্তাহে সংসদের দুই কক্ষেই টানা ১২ ঘণ্টা ধরে তর্ক-বিতর্কের পর পাশ হয়ে গিয়েছে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪। এই বিলে সাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ফলে আইনে পরিণত হয়েছে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলটি। সুপ্রিম কোর্টে এই বিলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মৌখিক আবেদন করা হয়েছিল। তবে তাতে পাত্তাই দিলেন না প্রধান বিচারপতি!
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাছে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশনগুলির জরুরি শুনানির দাবি জানিয়ে মৌখিক ভাবে আবেদন করা হয়। তবে তা গ্রহণ করেননি প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তিনি জানান, “সুপ্রিম কোর্টে মামলা তালিকাভুক্ত করার শক্তিশালী ব্যবস্থা রয়েছে। তাহলে কেন মৌখিক ভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে এই মামলার আবেদন? মামলাগুলি যাতে জরুরি ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত করা হয়, তার জন্য একটি চিঠি পাঠান।“
বর্ষীয়ান আইনজীবী এবং রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল জানান, “যে চিঠি ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।“ তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, “তাহলে আমার সামনে যখন চিঠিটা আসবে, তখন আমি সেটা নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করব।“
উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে লোকসভায় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তাঁর দাবি ছিল, “ওয়াকফ বোর্ড শুধুমাত্র নজরদারি রাখবে, ওয়াকফ সম্পত্তির উপর কর্তৃত্ব ফলাবে না। আমি কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলির কাছে এই বিলকে সমর্থনের দাবি জানাচ্ছি। আজ পর্যন্ত ৮.৭২ লক্ষ ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। ২০০৬ সালে সাচার কমিটির অনুমান হিসেবে ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে আয়ের পরিমাণ ছিল ১২,০০০ কোটি টাকা। তাহলে আপনারা সহজেই অনুমান করতে পারেন যে, আজকের দিনে সেই আয় কত গিয়ে ঠেকবে? এই বিল কারও ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত হানবে না। নতুন আইনে সেই রাজস্ব বাড়বে।“
তর্ক-বিতর্ক, হট্টগোলের পর বুধবার গভীর রাতে লোকসভায় পাশ হয় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪। ২৮৮ ভোট পেয়ে লোকসভায় পাশ হয় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৩২ টি। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। সেখানেও প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলে ডিবেট। বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১২৮ জন। বিপক্ষে ভোট ৯৫।