প্যালেস্তিনীয় শূন্য গাজা! ইজরায়েলে বিতর্কিত প্রস্তাব পাশ
নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজা - সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই গাজার বাতাসে মৃত্যুর গন্ধ। রক্ত গঙ্গায় ভাসছে গাজা। এই আবহে সেখান থেকে প্যালেস্তিনীয়দের সরাতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ইচ্ছেতেই ইজরায়েলের নিরাপত্তা ক্যাবিনেট এক বিতর্কিত প্রস্তাবে অনুমোদন দিল। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার প্যালেস্তিনীয় শূন্য গাজা?
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাৎজ জানিয়েছেন, ”ইজরায়েলি এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে তৃতীয় দেশে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশকারী গাজার বাসিন্দাদের জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী স্থানান্তরিত করা হবে।“এই প্রস্তাবকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আগেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, গাজার ২২ লক্ষ প্যালেস্তিনীয়কে মধ্যপ্রাচ্যের সরিয়ে দেওয়া হবে। মিশর, জর্ডনের মতো প্রতিবেশী দেশগুলিকে তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, গাজার খান ইউনুস শহরের নাসির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল বারহুম। সেখানে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। হামলার জেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই হামলার তথ্য প্রকাশ করে ইজরায়েল সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে হাসপাতালকে আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস জঙ্গিরা। সেনাবাহিনী নিখুঁত হামলা চালিয়ে ওই জঙ্গিকে খতম করেছে।“
দিন কয়েক আগে মধ্য এবং দক্ষিণ গাজার একাধিক এলাকায় অভিযান চালায় ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স। মধ্য গাজার নেতজারিম করিডরের মাধ্যমে উত্তর এবং দক্ষিণ গাজার মধ্যে যোগাযোগ বজায় থাকে। তা এখন অর্ধেকের বেশি ইজরায়েলি সেনার কবজায়। এই করিডর ইজরায়েলের হাতে চলে যাওয়ায় গাজার দুই প্রান্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেখানে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহরে খতম হয়েছে হামাসের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান রাশিদ জাহজু, আয়মান আতসিলা ও সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ওসামা তাবাশ। আইডিএফের অভিযোগ, গাজা জুড়ে হামাসের মতাদর্শ প্রচার করত এই জেহাদিরা। আইডিএফের অন্য এক অভিযানে খতম হয়েছে ইসমাইল আবাদ আল-আল।